আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in সাওম (Fasting) by (3 points)
আমি বলেছিলাম আল্লাহর জন্য এই কাজটা করবো না, পরবর্তীতে করতে হয়েছে, তাই কাফফারা রোজা রাখছি, ২টা রাখার পর, ৩য় দিন সাহরী 'র সময় জাগ্রত হতে  পারি নাই। তাও রোজা সম্পূর্ণ করবো।

আমার রোজা কী হবে? কাফফারা আদায় হবে?আমার কাফফারা রোজা কী আবার রাখতে হবে?
আল্লাহর জন্য বলা টা কী কসম বুঝায়?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব। 
ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
তবে সেহরী খাওয়ার দ্বারা রোযার রাখতে শক্তি অর্জন হয়।
তাই সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব।   
সুতরাং সাহরী খাওয়া ছাড়াই কেহ রোযা রাখলে রোযা আদায় হয়ে যাবে,পুরোপুরি ছওয়াবও পাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ৩/১৮৫)

এতে ছওয়াবের ভিতরে কোনো কমতি করা হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছে   

لما فی المشکوۃ (صـ۱۸۱): عن عائشۃ رضی اللہ عنھا قالت دخل علی النبی ﷺ ذات یوم فقال ھل عندکم شی فقلنا لا قال فانی اذا صائم۔الخ

যার সারমর্ম হলো এক দিন রাসুল সাঃ সুবহে সাদিক থেকে কিছুই খাননি,দিনের বেলা বাড়িতে এসে আয়েশা রাঃ জিজ্ঞাসা করলেন যে ঘরে কি খাওয়ার মতো কোনো জিনিস আছে?
তিনি জবাব দিলেন যে না। কিছুই নেই
তখন তিনি রোযা রাখার পুরোপুরি নিয়ত করে ফেললেন। 

সেহরি খাওয়া সুন্নত, এটি রোজার অংশ নয়। সেহরি না খেলেও রোজা হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ ২/৩৭৭; ইমদাদুল ফাত্তাহ ৬৯৭)

সাহরী খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হবে।

হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
تسحروا، فإن في السحور بركة.
 ‘তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে।’-সহীহ মুসলিম ১/৩৫০

অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।’
(মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ৯০১০;    

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১, হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার রোজা হবে৷ কোনো সমস্যা নেই৷ আপনার কাফফরাও আদায় হবে৷

২, "আল্লাহর জন্য" এটা আবশ্যকীয় অর্থ দেয় না এবং এটা কসমের শব্দও নয়৷ ফলে এটার দ্বারা কসম করলে কসম হবে না৷ 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 242 views
...