আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
231 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (80 points)
আসসালামুআলাইকুম।

১) নাজায়েজ জানার পরেও আমি আমার এক হিন্দু শিক্ষক কে সালাম দিয়েছি।এতে কি কুফরী হয়েছে?সালাম দেওয়ার সময় তেমন কিছু মনে হয়নি এতদিন দিয়ে দিয়ে অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন ভয় হচ্ছে কুফরী হলো কি না?


২)কোনো ভিডিও দেখার সময় ওই ভিডিওতে মাঝে মাঝে কিছু কুফরী দৃশ্য আসে যেমন ভিডিওতে থাকা লোক অন্য ধর্মের উপাস্য করছে, ভিডিওতে থাকা লোক কোনো কুফরি কথা বলছে বা ভিডিওতে কোনো কুফরী অর্থবিশিস্ট গান চলে আসে।আমার মনে যদি কোনো কুফরী বিশ্বাস না থাকে তাহলে কেবল এরকম দৃশ্য দেখার কারণে কি ঈমান ভঙ্গ হবে?


৩) আমি একজনের কাছে শুনি যে দেশে একলোক মারা গেছে।কারও মৃত্যু নিয়ে মজা করতে হয় না জানি।আমি মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর নাউজুবিল্লাহ বলি এমনি।(শরীয়তের কোনো বিষয় নিয়ে মজা করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না)।পরে যখন মনে হলো এরকম টি উচিত নয় তৎক্ষণাৎ আমি মৃত্যুর সংবাদের জন্য ইন্না লিল্লাহ পড়ি।আমার কি কুফরী হয়েছিল?


৪)ঘরে একটি ছবি যুক্ত বাক্স থাকায় আমি আমার মা কে বলছিলাম এগুলো ঘরে রাখা যাবে না,ঘরে কোনো প্রাণীর ছবি রাখলে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না জানি।আমি আমার মাকে বুঝানোর জন্যই বলছিলাম কিন্তু বলার সময় আমার মুখে হাসির মত হয়। মানে হাসতে হাসতে মানুষ যেরকম কথা বলে সেরকম। শরীয়তের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করার নিয়ত আমার কখনোই ছিল না আমি আমার মাকে সত্যি সত্যিই সতর্ক করার জন্যেই বলেছি।আমার কি ঈমান থাকবে?


৫)আমার মা আমাকে বলছিল সে বাসার ফ্রিজ কেনার জন্য সিজদায় গিয়ে অনেক দোয়া করছে। ফ্রিজ কেনার তেমন দরকার ছিলনা তাই আমি তার দোয়া করার কথা শুনে হাসছি। শরীয়তের দোয়া করার বিষয় নিয়ে হাসার নিয়ত ছিল না।আমার কি ঈমান থাকবে?

৬)একজনের নামাজের মধ্যে নামাজ ভঙ্গের কোনো কারণ হলো।কিন্তু তার পাশে লোক ছিল দেখে সে ভয়ে নামাজ ছাড়লো না। কারন সে ওয়াসওয়াসার জন্য বারবারই এমন করছিল।ওই লোক কি মনে করবে তাই ভেবে হাত বেধেই থাকলো।পরে লোকটি কিছুক্ষণের মধ্যে যাওয়ার পর পুনরায় নামাজে দাড়ালো।অন্য লোকের ভয়ে নামাজ না ভেঙে দাড়িয়ে থাকায় কি শিরক হয়েছ?

1 Answer

0 votes
by (574,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইবাদত বন্দেগির মত মুআমেলা ও মুআশারার ক্ষেত্রেও ইসলাম ধর্মের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র। বিধর্মীদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা। 
,
সালাম ইসলামের সৌন্দর্য, একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের হক ও অধিকার। সুতরাং সালাম শুধু এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না।

এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে  

أخرج مسلم برقم 13 – ( 2167 )  عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تبدؤوا اليهود ولا النصارى بالسلام … 
 ‘তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)
,
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « لاَ تَبْدَأُوا اليَهُودَ وَلاَ النَّصَارَى بالسَّلامِ، فَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ في طَرِيقٍ فَاضطَرُّوهُ إِلَى أَضْيَقِهِ». رواه مسلم
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না। যখন পথিমধ্যে তাদের কারো সাথে সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে পথের এক প্রান্ত দিয়ে যেতে বাধ্য করো।’’

(মুসলিম ২১৬৭, তিরমিযী ২৭০০, আবূ দাউদ ১৪৯, আহমাদ ৭৫১৩,৭৫৬২,৮৩৫৬,৯৪৩৩,৯৬০৩,১০৪৪১৮)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুফরী হবেনা,আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এহেন কাজ করার কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
(০২)
না,এতে ঈমান ভঙ্গ হবেনা।
,
(০৩)
না,এতে কুফরী হয়নি।
আপনার ঈমান ঠিকই আছে।
,
(০৪)
না,এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
,
(০৫)
এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৬)
এটি রিয়া হয়েছে।
মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...