জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইবাদত বন্দেগির মত মুআমেলা ও মুআশারার ক্ষেত্রেও ইসলাম ধর্মের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র। বিধর্মীদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা।
,
সালাম ইসলামের সৌন্দর্য, একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের হক ও অধিকার। সুতরাং সালাম শুধু এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না।
এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে
أخرج مسلم برقم 13 – ( 2167 ) عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تبدؤوا اليهود ولا النصارى بالسلام …
‘তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)
,
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « لاَ تَبْدَأُوا اليَهُودَ وَلاَ النَّصَارَى بالسَّلامِ، فَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ في طَرِيقٍ فَاضطَرُّوهُ إِلَى أَضْيَقِهِ». رواه مسلم
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না। যখন পথিমধ্যে তাদের কারো সাথে সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে পথের এক প্রান্ত দিয়ে যেতে বাধ্য করো।’’
(মুসলিম ২১৬৭, তিরমিযী ২৭০০, আবূ দাউদ ১৪৯, আহমাদ ৭৫১৩,৭৫৬২,৮৩৫৬,৯৪৩৩,৯৬০৩,১০৪৪১৮)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুফরী হবেনা,আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এহেন কাজ করার কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
(০২)
না,এতে ঈমান ভঙ্গ হবেনা।
,
(০৩)
না,এতে কুফরী হয়নি।
আপনার ঈমান ঠিকই আছে।
,
(০৪)
না,এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
,
(০৫)
এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৬)
এটি রিয়া হয়েছে।
মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।