আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

 হানাফি মাযহাব অনুযায়ীই, কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে,অভিভাবকদের না জানিয়ে  একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে বিয়ে  করেছিল।

বিয়ের পর তারা  এইপর্যন্ত এক বাসায়  থাকে নাই। সহবাস করে নাই।

একবার সেই স্বামী, তার স্ত্রীকে  বলছেঃ

 " অমুক কাজ  করবা না, করলে তালাক।"

★এই বাক্য একই মজলিসে অথবা ফোনে  স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় পরপর   তিনবার বলেছে এভাবেঃ

প্রথমবার বলেছে "অমুক কাজ করবা না, করলে তালাক।

দ্বিতীয়বার বলেছে " সাবধান, অমুক কাজ  কইরো না কিন্তু, করলে তালাক।"

তৃতীয়বার বলেছে "অমুক কাজ  যতবার করবা  ততবার তালাক।"

★ঐ বাক্য, স্বামী একই মজলিসে অথবা ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনবার বলার পরও,স্ত্রী  ঐ কাজ  করেছে,

এই পর্যন্ত স্ত্রী সেই কাজ অনেকবার করেছে।

ক) তাদের  মাঝে কি আর বৈবাহিক  সম্পর্ক  আছে???

খ) তারা  তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে তারা  ঘর- সংসার করতে  চায়,তাদের   করণীয় কি?

গ) স্ত্রী  কি সেই  কাজ  আর কখনোও করতে পারবে???

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরয় রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)

إذا وجد الشرط انحلت الیمین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵، کذا في الہدایۃ / باب الأیمان في الطلاق ۲؍۳۵۸، البحر الرائق / باب التعلیق ۴؍۸ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে। 

★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যতবার ঐ স্ত্রী সেই কাজ করেছে,ততবার তালাক পতিত হয়েছে। 
তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়ে থাকলে উক্ত স্ত্রীকে শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত বিবাহ করা যাবেনা।    

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
edited by
 আপনাদের ওয়েব সাইটে যে দেখলাম, সহবাসের পূর্বে তালাক  দিলে প্রথম  তালাক  দ্বারাই এক তালাক  বায়েন হয়ে  যাবে। 
তাহলে আমার  ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম হলো কেন,শায়েখ???? 
আমি একই মজলিসে বলছি ঠিক আছে  কিন্তু
আমি তো যতবার- ততবার  তিন  নাম্বার  বাক্যে ব্যবহার করেছি,তার আগেই  কি প্রথম  বাক্য দ্বারা,  স্ত্রীর উপর  বায়েন তালাক  পতিত  হয়ে যায়  নাই?
by (573,870 points)
তার আগেই তো স্ত্রী সেই কাজ করেনি।
তাই যতবার ততবার বলার আগেই তালাক পতিত হয়নি।
এখানে যতবার ততবার বলাটাই মূল লক্ষ্যনীয় বিষয় হিসেবে ধরা হবে।   

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...