জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়ত মানুষের নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে মারাত্মক গুনাহ ও গর্হিত কাজ বলে ঘোষণা করেছে।
,
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.
হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১
★সুতরাং কোনো অমুসলিম তারকা,ফুটবলার বা কোনক নাস্তিকের নাম বিকৃত করা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি তাদের কেউ মহান আল্লাহ/রাসুল সাঃ/ ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করে,তাহলে তাদের যেমন গালি দেওয়া যাবে,নাম বিকৃতিও করা যাবে।
,
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে লাহনে জলি হবেনা।
তাই নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
,
(০৪)
না,নামাজ ফাসিদ হবেনা।
,
(০৫)
না,এতে নামাজ ফাসিদ হবেনা।
তবে এটি সুন্নাহর খেলাফ কাজ হবে।
ওযরবশত কেহ এমনটি করলে কোনো সমস্যা নেই।
ওযর ছাড়া এমনটি করলে সুন্নাহর খেলাফ হবে,তবে নামাজ হয়ে যাবে।
,
(০৬)
না,ঈমান চলে যাবেনা।
তবে কাফের কাহারো নাম (যদি সেটি ইসলামে অবৈধ নাম হয়,তাহলে) নিজের নামের সাথে মিলিয়ে বলা জায়েজ হবেনা।
,
(০৭)
এতে শুধু গুনাহ হবে,
কুফরী হবেনা।
তাই এতে ঈমান চলে যাওয়ার কোনো আশংকা নেই।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬