ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাজের অন্যতম একটি শর্ত (ফরজ)হলো জায়গা পাক থাকা।
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَبَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَتَنَاوَلَهُ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم " دَعُوهُ وَهَرِيقُوا عَلَى بَوْلِهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ، أَوْ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ، وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ ".
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা জনৈক বেদুঈন দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশা করল। তখন লোকেরা তাকে বাধা দিতে গেলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও এবং ওর পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ তোমাদেরকে কোমল ও সুন্দর আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, রূঢ় আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়নি। (বুখারী ২২০.৬১২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২০)
★এক্ষেত্রে জায়গা পাক দ্বারা তত জায়গা পাক হওয়া উদ্দেশ্য,নামাজ আদায় করতে যতটুকু জায়গা শরীরের সরাসরি স্পর্শ হয়।
যেমন দাড়ানোর জায়গা,সেজদায় হাটু রাখার জায়গা,হাত, নাক,কপাল রাখার জায়গা।
বৈঠকের সময় বসার জায়গা পাক হতে হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজের যেই জায়গা পাক হতে হয়,সেই পরিমান নামাজের জায়গায় লাগা উক্ত নাপাক পানির পরিমান যদি এক দিরহাম পরিমাণ হয়, আর হাত দিয়ে সরানোর পর যদি নাপাকি চলে না গিয়ে থাকে, তাহলে উক্ত স্থানে নামায পড়া জায়েজ হয়নি।
যেই নামাজ পড়া হয়েছে,তাহা আবার আদায় করতে হবে।
কিন্তু যদি সেই নাপাকি এক দিরহাম থেকে কম হয়,অথবা হাত দিয়ে সড়ানোর দ্বারা যদি সেই নাপাকি দূর হয়ে যায়, তাহলে উক্ত স্থানে নামায আদায় হয়ে যাবে।
★বিঃদ্রঃ উল্লেখিত বিধান তখনই হবে,যখন উক্ত বস্তুর নাপাক হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারনা বা নিশ্চিত হবে।
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে এমন বিধান নয়।
(০২)
সাধারণভাবে নামাজ আদায় করার সময় নামাজের স্থানে নাপাকি দেখতে পেলে যদি তাহা সেজদাহ,বৈঠকের সময় বসার স্থানে হয় তাহলে এক হাত দিয়ে তিন তাসবিহ এর কম সময়ে সেটি দূরকরনের চেষ্টা করবে।
(শুকনো হলে দূর হয়ে যাবে,নতুবা দূর হবেনা,হলেও দূর হওয়ার পর উক্ত স্থান শুকিয়ে যাবেনা।)
সর্বপরি দূর করা সম্ভব না হলে সেই স্থানে নামাজ পড়া ঠিক হবেনা।
হ্যাঁ যদি নাপাকির পরিমান একদিরহামের থেকে কম হয়,তাহলে সেটি মাফ হবে।