বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3447 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আমরা এ ব্যাপারে বহুবার বলেছি যে,
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়,তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ-
এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3447
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
একমাত্র দাওয়াহ এর উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, তথা সর্বদা নিজেকে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে ব্যস্ত রাখা কারো , উদ্দেশ্য থাকলে উনার জন্য অমুসলিম দেশে অস্থায়ী/ স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন থাকবে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু লেখাপড়ার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, তাই আপনার জন্য লেখাপড়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া নাজায়েয হবে না।যদি কেউ সেখানে গিয়ে তাদের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দেয়, তাহলে এজন্য তার গোনাহ হবে,আপনার গোনাহ হবে।
হ্যা, অবশ্যই ঠিক যে, এখানে উক্ত গোনাহে লিপ্ত হতে আপনার সামান্য সাহায্য চলে আসছে, এইজন্য উত্তম যে, ঢালাওভাবে অমুসলিম দেশে যাতায়াতের দিকনির্দেশনা না দেয়াই উচিৎ। আপনার জন্য বরং উত্তম হবে যে, আপনি মুসলিম দেশ সমূহের রাস্তা দেখিয়ে দিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।