ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/466 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উপরোক্ত আলোচনা দ্বার বুঝতে পারলাম।
যদি শরীয়ত সম্মত বিউটি পার্লার হয় তাহলে শুধুমাত্র স্বামীকে খুশী করার জন্য বিউটি পার্লার থেকে বৈধ অস্থায়ী সাজগোছ যেমন ক্রিম ইত্যাদি দিয়ে সাজা বৈধ আছে।
এক্ষেত্রে ৩টি জিনিষ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১/বিউটি পার্লার শরীয়ত সম্মত হতে হবে।
২/বৈধ সাজগোছ করতে হবে।
৩/শুধুমাত্র স্বামীকে সন্তুষ্টি করার জন্য হতে হবে।
ক্রিম,লোশন ইত্যাদি হালাল কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে।(শেষ)
৩০৫১নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি- মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হলঃ
১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে।
হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রা. চুল লম্বা রাখতেন।
২. এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে।
لعن ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬَﺎﺕِ ﺑِﺎﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻴﻦَ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝ-
নবীজী সাঃ পুরুষ সাদৃশ্য গ্রহণকারী মহিলাদেরকে এবং মহিলা সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষদেরকে লা'নত প্রদান করেছেন।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৫)
৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
নবীজী সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি যে জাতীর অনুকরণ করবে, সে তাদের-ই দলভুক্ত হবে। সহীহ বুখারী-৪০৩১
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু অমুসলিম বা ফাসিক মহিলাদের অভ্যাস বা স্টাইল হল,সামনের দিকের চুককে কাটা।তাই এমন স্টাইলে চুল কাটা কখনো জায়েয হবে না।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীকে খুশী রাখার জন্য পরিমিত পরিমাণের চুল কর্তন করা যাবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
সিজারিয়ান মায়ের কোনো নেফাস নাই।