উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে ব্যাংক বা অন্য কাহারো থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ নয়। হারাম।
হারাম টাকায় ব্যবসাকৃত সম্পদও হারাম হবে। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য প্রয়োজনের মুহুর্তেও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাবসা করা জায়েজ হবেনা।
এখন উক্ত ব্যাক্তির জন্য উচিত হলো কেহ যদি তাকে টাকা করজ না দেয়, তাহলে নিজের যতটুকু টাকা আছে,সাধ্যমতো তা দিয়েই ব্যাবসা বা অন্য কিছু করা।
۔
হ্যাঁ সে যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই ব্যবসা করে,তাহলে যদিও এটা বড় গুনাহের কাজ,তারপরেও তা থেকে যাহা লাভ, আমদানী হবে,তাহা হারাম হবেনা।
কারন সে সুদ নিচ্ছেনা,শুধু সুদ দিচ্ছে।
সে ব্যাংক এর টাকা শোধ করে দিবে,আল্লাহর কাছে মাফ চাইবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১১/৩২৬)
,
★★★উল্লেখ্য যে কোনো ক্রমেই যদি কোনো ব্যাক্তির জীবন জিবিকা না চলে,সুদি ঋন না নিলে তার সংসার কোনোভাবেই না চলে,বরং অবস্থা এমন দাড়ায় যে এই ঋন যদি না নেয়,তাহলে তাক্র ভিক্ষার থালি নিয়ে রাস্তায় যেতে হবে, তাহলে এমন কঠিন মুহুর্তে সে সুদি ঋন নিতে পারবে,তবে সে সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে মাফ চাইবে, তওবা করবে।
(মুন্তাখাবাতে নিজামুল ফাতওয়া ১৫৮)
আল আশবাহ ওয়ান নাজায়ের গ্রন্থে আছেঃ
ویجوز للمحتاج الاستقراض بالربح (الاشباہ والنظائر ص۱۱۵،مرتب)
যার সারমর্ম হলো কঠিন প্রয়োজনে সুদী ঋন নেওয়া যাবে।