আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ
বর্তমান সময়ে ভিক্ষাবৃত্তি একটি পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে ।
১. আমার প্রশ্ন হলো অনেক ভিক্ষুক আল্লাহ তা'য়ালার নামের দোহাই দিয়ে ভিক্ষা চায় বা নিজের নামাজ পড়ার কোনো নাম নাই অথচ আল্লাহ, নবী রাসুল এর নাম নিয়ে ভিক্ষা চায় এই কাজটা কি জায়েয ? আল্লাহর নাম নিয়ে কি ভিক্ষা করা জায়েয ? দেখা যায় যে, রাস্তাঘাটে জোরে জোরে চিল্লিয়ে কিংবা মাইক নিয়ে আল্লাহ, নবী-রাসূল,জান্নাত-জাহান্নাম সম্পর্কে (সত্য+মিথ্যা) কিছু কথা বলে ভিক্ষা করে । এটি কি জায়েয? এদেরকে কি ভিক্ষা দেওয়া যাব ?

২. অনেকেই পেশা হিসেবে ভিক্ষা করে কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ তো সেটা বুঝতে পারি না তবে এই ধরনের ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দিলে সেটি কি গুনাহ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
বিসমিল্লাহিররহমানিররহিম   
জবাবঃ- 
ভিক্ষাবৃত্তি এবং ইসলাম
ভিক্ষাবৃত্তি কাদের জন্য জায়েয আর কাদের জন্য জায়েয নয়?এ সম্পর্কে যৎ সামান্য হাদীস উল্লেখযোগ্য। নিম্নে প্রদত্ত হল।
হযরত ক্বাবিসাহ ইবনে মুখারিক্ব রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ
 «عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ قَالَ: تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَسْأَلُهُ فِيهَا، فَقَالَ: " أَقِمْ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ، فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا "، ثُمَّ قَالَ: " يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ: رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ، وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ، فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ، أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ، وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ: لَقَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ، أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ، فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ، يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا» "
আমি একবার অন্যর ঋণের বোঝা/রক্তপণ নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসি।অতঃপর অনুন্যপায় হয়ে নবীজী সাঃ এর কাছে যাই যাতে করে উনার কাছে এ সম্পর্কে সুওয়াল করি।নবীজী সাঃ বলেনঃ তুমি দাড়াও যতক্ষণ না আমাদের কাছে সদকার (যাকাতের)কোনো মাল আসে,আসলে তোমার জন্য নির্দেশ দিয়ে দিবো।অতঃপর নবীজী সাঃ বললেনঃ হে ক্বাবিসাহ! সুওয়াল করা তিন প্রকার মানুষ ব্যতীত অন্য কারো জন্য বৈধ নয়।
  1. ঐ ব্যক্তির জন্য বৈধ যে, অন্যর ঋণের বোঝা/রক্তপণ নিজ দায়িত্বে নিয়ে এসেছে।যতক্ষণ না উক্ত প্রয়োজন শেষ হয়(ততক্ষণ বৈধ রয়েছে)।
  2. ঐ ব্যক্তির জন্য বৈধ যে,যাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে, অর্থাৎ তার সমস্ত সম্পত্তি ধংস হয়ে গেছে।যতক্ষণ না তার আবশ্যকীয় প্রয়োজনাদি পূর্ণ হয়।(ততক্ষণ বৈধ রয়েছে)
  3. ঐ ব্যক্তির জন্য বৈধ যে, নিতান্ত-ই গরীব হয়ে গিয়েছে,এমনকি তার প্রতিবেশীদের মধ্যে তিনজন জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি দাড়িয়ে এ স্বাক্ষ্য প্রদান করতে সক্ষম যে অমুক গরীব হয়ে গিয়েছে।যতক্ষণ না সে তার আবশ্যকীয় প্রয়োজনাদি পূর্ণ করবে।(ততক্ষণ বৈধ রয়েছে) (সহীহ মুসলিম-১৮৩৭)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,
 عن أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «مَنْ سَأَلَ النَّاسَ أَمْوَالَهُمْ تَكَثُّرًا فَإِنَّمَا يَسْأَلُ جَمْرًا، فَلْيَسْتَقِلَّ أَوْ لِيَسْتَكْثِرْ» "
নবীজী সাঃবলেনঃ যে ব্যক্তি সম্পদবৃদ্ধির আশায় মানুষের কাছে সুওয়াল করবে,সে যেন  আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলার কাছে আগুনের আঙ্গারা সুওয়াল করল।এখন সে যেন কমিয়ে করে অথবা বাড়িয়ে করে(তার ইচ্ছাস্বাধীন )।(সহীহ মুসলিম১৮৩৮)

হযরত সাহল ইবনে হানযালা রাঃ থেকে বর্ণিত,
 وَعَنْ سَهْلِ بْنِ الْحَنْظَلِيَّةِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «مَنْ سَأَلَ وَعِنْدَهُ مَا يُغْنِيهِ، فَإِنَّمَا يَسْتَكْثِرُ مِنَ النَّارِ» " قَالَ النُّفَيْلِيُّ وَهُوَ أَحَدُ رُوَاتِهِ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " وَمَا الْغِنَى الَّذِي لَا تَنْبَغِي مَعَهُ الْمَسْأَلَةُ؟ قَالَ: قَدْرُ مَا يُغَدِّيهِ وَيُعَشِّيهِ " وَقَالَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " أَنْ يَكُونَ لَهُ شِبَعُ يَوْمٍ أَوْ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ "
নবীজী সাঃ বলিয়াছেন,যে ব্যক্তি সুওয়াল করল,অথচ তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ মাল রয়েছে, সে যেন বেশী বেশী আগুনকে চাইল।আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ আন-নুফায়লি যিনি উক্ত হাদিসের একজন রাবী(বর্ণনাকারী),তিনি  বলেন:
কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে সুওয়াল করা যাবে না? মর্মক প্রশ্নের জবাবে নবীজী সাঃ বলেনঃ সকালবিকাল পরিমাণ খাদ্য সংগ্রহ থাকলে সুওয়াল করা যাবে না।নুফাইলি রাহ অন্যত্র বলেন,নবীজী সাঃ বলেছেনঃ যার কাছে একদিন পরিমাণ বা একদিন ও রাত পরিমাণ খাদ্য সংগ্রহ থাকবে তার জন্য সুওয়াল করা হারাম হবে।
(আবু-দাউদ-১৮৪৮)

মুল্লা আলী ক্বারী রাহ বলেনঃ
وَالْأَنْسَبُ بِمَسْأَلَةِ تَحْرِيمِ السُّؤَالِ أَنْ يَكُونَ أَمْرُ النَّسْخِ بِالْعَكْسِ بِأَنْ نُسِخَ الْأَكْثَرُ، فَالْأَكْثَرُ إِلَى أَنْ تَقَرَّرَ أَنَّ مَنْ عِنْدَهُ مَا يُغَدِّيهِ وَيُعَشِّيهِ يَحْرُمُ عَلَيْهِ السُّؤَالُ، فَيَكُونُ الْحُكْمُ تَدْرِيجِيًّا بِمُقْتَضَى الْحُكْمِ كَمَا وَقَعَ فِي تَحْرِيمِ الْخَمْرِ،
কি পরিমাণ সম্পদ থাকা অবস্থায় ভিক্ষা চাওয়া হারাম সে সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য অভিমত হল,মদের মত ধাপে ধাপে শেষ পর্যন্ত নবীজী সাঃ সকাল-বিকাল খাদ্যর মালিকের জন্য ভিক্ষাবৃত্তিকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন।
এবং ইহাই হানাফি মাযহাবের চুরান্ত সিদ্ধান্ত বলে গৃহিত। (মিরক্বাতুল মাফাতিহ;৪/১৩১৩)

  • সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
রাস্তার ভিক্ষুক যাদের ভিক্ষাবৃত্তি আজকাল একরকম পেশা হয়ে গেছে।তন্মধ্যে অনেকের আবার আর্থিক সচ্ছলতা ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে।এদেরকে রুক্ষ ভাষায় ধমক না দিয়ে উপদেশ দিতে হবে।নরম ভাষায় তাদেরকে বুঝাতে হবে।না দিলে সুন্দরভাবে বিদায় দিতে হবে
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟﺴَّﺎﺋِﻞَ ﻓَﻼ ﺗَﻨْﻬَﺮْ
তরজমাঃ এবং(হে নবী) আপনি সওয়ালকারীকে ধমক দিবেন না।

হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻟﻠﺴﺎﺋﻞ ﺣﻖ ﻭﺇﻥ ﺟﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﻓﺮﺱ-
তরজমাঃ সুওয়াল কারীর ও একটি হক্ব রয়েছে যদিও সে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে আসে।(আবু-দাউদ-১৬৬৫)

  • সুওয়াল করার হুকুম ভিক্ষুকের অবস্থার উপর নির্ভর করবে।সে যদি সাবলম্বী হয় তাহলে সুওয়াল করা তার জন্য উপরের বর্ণিত ধারা অনুযায়ী হারাম হবে ঠিক কিন্তু সুওয়ালকৃত ব্যক্তির জন্য কিছু দিয়ে দেয়াটা উচিৎ।কেননা সুওয়ালের কারণে তার উপর সুওয়ালকারীর জন্য একরকম হক্ব বা অধিকার স্থাপিত হয়ে গেছে।তবে সাধারণত সদকার(নফল) নিয়্যাত থাকলে বাস্তব অবস্থা অনুসন্ধান করে দেয়াটাই উত্তম হবে।কারো সম্পর্কে যদি প্রবল ধারণা হয় যে,সে সর্বদিক দিয়ে অক্ষম তাহলে তাকে দিয়ে দিবে।তবে যদি কেউ ধনী বা সুস্থ-সবল,উপার্জনোক্ষমকাউকে সদকা দিয়ে দেয় তাহলে তার বৃথা যাবে না।বরং অবশ্যই সে সওয়াব পাবে।
যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত আছে,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺟُﻞٌ ﻟَﺄَﺗَﺼَﺪَّﻗَﻦَّ ﺑِﺼَﺪَﻗَﺔٍ ﻓَﺨَﺮَﺝَ ﺑِﺼَﺪَﻗَﺘِﻪِ ﻓَﻮَﺿَﻌَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻳَﺪِ ﺳَﺎﺭِﻕٍ ﻓَﺄَﺻْﺒَﺤُﻮﺍ ﻳَﺘَﺤَﺪَّﺛُﻮﻥَ ﺗُﺼُﺪِّﻕَ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﺎﺭِﻕٍ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟَﺄَﺗَﺼَﺪَّﻗَﻦَّ ﺑِﺼَﺪَﻗَﺔٍ ﻓَﺨَﺮَﺝَ ﺑِﺼَﺪَﻗَﺘِﻪِ ﻓَﻮَﺿَﻌَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻳَﺪَﻱْ ﺯَﺍﻧِﻴَﺔٍ ﻓَﺄَﺻْﺒَﺤُﻮﺍ ﻳَﺘَﺤَﺪَّﺛُﻮﻥَ ﺗُﺼُﺪِّﻕَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻠَﺔَ ﻋَﻠَﻰ ﺯَﺍﻧِﻴَﺔٍ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻋَﻠَﻰ ﺯَﺍﻧِﻴَﺔٍ ﻟَﺄَﺗَﺼَﺪَّﻗَﻦَّ ﺑِﺼَﺪَﻗَﺔٍ ﻓَﺨَﺮَﺝَ ﺑِﺼَﺪَﻗَﺘِﻪِ ﻓَﻮَﺿَﻌَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻳَﺪَﻱْ ﻏَﻨِﻲٍّ ﻓَﺄَﺻْﺒَﺤُﻮﺍ ﻳَﺘَﺤَﺪَّﺛُﻮﻥَ ﺗُﺼُﺪِّﻕَ ﻋَﻠَﻰ ﻏَﻨِﻲٍّ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﺎﺭِﻕٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺯَﺍﻧِﻴَﺔٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻏَﻨِﻲٍّ ﻓَﺄُﺗِﻲَ ﻓَﻘِﻴﻞَ ﻟَﻪُ ﺃَﻣَّﺎ ﺻَﺪَﻗَﺘُﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﺎﺭِﻕٍ ﻓَﻠَﻌَﻠَّﻪُ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺘَﻌِﻒَّ ﻋَﻦْ ﺳَﺮِﻗَﺘِﻪِ ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻴَﺔُ ﻓَﻠَﻌَﻠَّﻬَﺎ ﺃَﻥْ ﺗَﺴْﺘَﻌِﻒَّ ﻋَﻦْ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟْﻐَﻨِﻲُّ ﻓَﻠَﻌَﻠَّﻪُ ﻳَﻌْﺘَﺒِﺮُ ﻓَﻴُﻨْﻔِﻖُ ﻣِﻤَّﺎ ﺃَﻋْﻄَﺎﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ )
ভাবার্থ-পূর্ববর্তী উম্মতের কোনো এক লোক একবার বলেছিলো।আমি অবশ্যই সদকা করবো।অতঃপর সে সদকা নিয়ে বাহির হল,এবং তা এক চোরকে দিয়ে দিল,লোকগণ বলাবলি শুরু করল,এক চোরকে(গত কাল/রাত)সদকা দেয়া হয়েছে।উক্ত ব্যক্তি (শুনে)বলল,হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা তোমার, আমি তো চোরকে সদকা দিয়েছি।
অতঃপর সে ব্যক্তি বলল আমি(আগামী কাল) আবার সদকা করবো,পরবর্তিতে সে এক পতিতাকে  সদকা দিয়ে দিল,(এদিনও)লোকগণ বলাবলি শুরু করে দিল,(গতকাল)এক পতিতাকে সদকা দেয়া হয়েছে।উক্ত ব্যক্তি (শুনে) বলল,হে আল্লাহ!সকল প্রশংসা তোমার-ই,আমি তো পতিতাকে সদকা দিয়েছি।সে ব্যক্তি আবার বলল আমি আগামীকাল সদকা করবো।অতঃপর সে একজন ধনী ব্যক্তিকে সদকা দিয়ে দিল,লোকগণ বলাবলি শুরু করে দিল,এবার ধনীকে সদকা দেয়া হয়েছে।উক্ত ব্যক্তি শুনে বলল,হে আল্লাহ!সকল প্রশংসা তোমার-ই,আমি তো এক ধনী ব্যক্তিকে সদকা দিয়ে দিয়েছি।
তাকে স্বপ্নে বলা হল,সদকা হয়তো চোরকে চোরি থেকে বিরত রাখবে,এবং পতিতাকে পতিতাবৃত্তি থেকে বিরত রাখবে,এবং ধনীকে সদকার প্রতি উৎসাহিত করবে।(সহীহ বুখারী-১৩৫৫ সহীহ মুসলিম-১০২২

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...