বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
জবাব,
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“তাঁর কাছেই আছে অদৃশ্য জগতের সমস্ত জ্ঞানের চাবি। যা তিনি ব্যতীত আর কেউ জানে না। (সূরা আনআমঃ ৫৯)
“বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে কেউ গায়েবের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।” (সুরা নামলঃ ৬৫)
অতএব, যদি কেউ কোন রাশিফল এই বিশ্বাস নিয়ে পড়ে যে, এটি তার জীবনে বাস্তবিকই ঘটবে এবং বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্র তার জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে, তবে তার কোন ইবাদতই আল্লাহর কাছে কবুল হবে না।
রাসূল (সা.) বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যদি গণকের কাছে গিয়ে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চায় এবং গণৎকারের কথা যদি সে বিশ্বাস করে, তবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবেনা।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৫৫৪০)
রাশিচক্র চর্চাকারী এবং দৈবজ্ঞানের দাবিদার ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শকারীদের ক্ষেত্রেও এ হাদীসটি প্রযোজ্য।
অপর এক হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে গেল এবং তার কথা বিশ্বাস করলো, সে যেন মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ বাণীকে অস্বীকার করলো।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৮৯৫)
তবে কেউ যদি কোন প্রকার বিশ্বাস ছাড়াই সাধারণভাবে রাশিফল পাঠ করে, তবে তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু, সাধারণত রাশিফল পাঠের পর মানুষের পরিকল্পনা অনেকসময় রাশিফলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে যায় এবং রাশিফলে নিষেধ করা কাজ থেকে মানুষ দূরে থাকে। এই প্রেক্ষিতে রাশিফল পাঠ থেকে দূরে থাকাই উত্তম। আল্লাহই সর্বোচ্চ জ্ঞানের অধিকারী।
★ উক্ত কাজ যেহেতু জায়েয নেই বিধায় তাতে শ্রম দেওয়াও জায়েয নেই।