উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারতের এই তরীকা বলেছেন যে, কেউ যখন কবরস্থানে যায়, তো কবরবাসীদের যেন এ বলে সালাম দেয়-
السلام عليكم دار قوم مؤمنين، أنتم لنا فرط ونحن لكم تبع، وإنا إن شاء الله بكم لاحقون، نسأل الله لنا ولكم العافية.
অর্থ : হে মুমিনদের বসতি! তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমরা আমাদের পূর্বসূরী আর আমরা তোমাদের উত্তরসূরী। আর ইনশাআল্লাহ আমরা তোমাদের সাথে যুক্ত হব। আমরা আল্লাহর কাছে আফিয়াত চাই। আমাদেরও জন্য এবং তোমাদেরও জন্য।-মুসলিম ১/৩১৩,৩১৪; সুনানে নাসায়ী ১/২২২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২৯৮৫
এরপর কবরবাসীর জন্য মাগফিরাতের দুআ করবে এবং কিছু পড়ে ঈসালে ছওয়াব করবে।
,
হাদীসে কিছু কিছু সূরার কিছু বিশেষ ফযীলতও উল্লেখিত হয়েছে। তেমনি দরূদ শরীফেরও ফযীলত এসেছে। তো দরূদ শরীফ, সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাস এবং আরো যেসব সূরা ইচ্ছা পড়ে ঈসালে ছওয়াব করবে। ওখানের দুআ হয়তো হাত না উঠিয়ে করবে অথবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে কিবলামুখী হয়ে করবে। -ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী খ. ৫ পৃ. ৩৫০ কিতাবুল কারাহিয়্যা
তিরমিজি শরীফে এসেছেঃ
إن سورۃ من القرآن ثلاثون آیۃ ، شفعت لرجل حتی غفر لہ ، و ھي سورۃ تبارک الذی بیدہ الملک
الجامع للترمذي ، حدیث نمبر : ۲۸۹۱ ۔محشی ۔
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ বলেন যে কুরআন শরীফে ৩০ আয়াত সম্বলিত একটি সুরা রয়েছে যে কোনো মাইয়্যেতের জন্য পড়া হলে তার গুনাহ মাফ করা হয়। সেটা হলো মুলক সূরা।
আরেক হাদীসে এসেছেঃ
ھي المانعۃ ، ھي المنجیۃ ، تنجیہ من عذاب القبر) الجامع للترمذي ، حدیث نمبر : ۲۸۹۰
এই সুরা (মুলক সুরা) কবরের আযাব থেকে নাজাত দেয়।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত যে বিশেষ সংখ্যার কথা বলে হয়েছে,এটা সলফে সালেহিন দের আমল।
হাদীস শরীফে এমন বিশেষ পদ্ধতিতে,বিশেষ সংখ্যা অনুপাতে দোয়া করার কথা নেই।