জবাবঃ-
এক যুদ্ধাভিযানে হযরত উসামা রাযি একব্যক্তিকে কালেমা পড়ার পরও হত্যা করলে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,
أَقَالَ: لا إِلهَ إِلَّا اللَّهُ وَقَتَلْتَهُ؟! قلتُ: يَا رسولَ اللَّهِ! إِنَّمَا قَالَهَا خَوْفًا مِنَ السِّلاحِ، قَالَ: أَفَلا شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتَّى تَعْلَمَ أَقَالَهَا أَمْ لا؟
হে উসামা! তুমি কি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ার পরও তাকে হত্যা করেছো? উসামা জবাবে বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ! ঐ ব্যক্তি তো বাঁচার জন্য কালেমা পড়েছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ উত্তরে বললেন,তুমি কি তার অন্তরকে ফেঁড়ে দেখেছো যে, সে সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে?(সহীহ মুসলিম-৭৫)
উক্ত হাদীসের আলোকে বুঝা গেল যে,শরীয়তের বিধি-বিধান মানুষের বাহ্যিক অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করেই আরোপিত হয়।তাই বাহ্যিক অবস্থা তথা পর্দা ইত্যাদি দেখে যখন প্রবল ধারণা জন্মিবে যে, পাত্রী দ্বীনদার, তখনই উক্ত পাত্রীকে দ্বীনদারির ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। হ্যা কোনো মহিলার বিষয়ে সম্পর্কে যদি প্রমাণিত হয় যে,সে পর্দা করার পরও গোনাহে লিপ্ত রয়েছে, তখন তাকে অগ্রাধিকার দেয়া যাবে না।ব্যাপকভাবে পর্দানশিন মহিলা দ্বীনদার নয় সেটা বলা যাবে না।হ্যা মাঝেমধ্যে ফিতনাবাজরা নিজের দোষকে গোপন রাখতে পর্দার আশ্রয় নিয়ে থাকে।
কনে দেখার সময় কনের মুখ,পা,হাত দেখা যাবে।
اتفق الحنفية والمالكية والشافعية على أن ما يباح للخاطب نظره من مخطوبته الحرة هو الوجه والكفان ظاهرهما وباطنهما إلى كوعيهما لدلالة الوجه على الجمال، ودلالة الكفين على خصب البدن، وهناك رواية عند الحنفية أن القدمين ليستا بعورة حتى في غير الخطبة.
হানাফি, শা'ফেয়ী, এবং মালিকী মাযহাব মতে মাখতুবাহ তথা পাত্রীর মূখ এবং দুনু হাত দেখা খাতিব তথা পাত্রর জন্য জায়েয আছে।দুনু হাতের বাহির ভিতর সব দেখাই জায়েয আছে।কেননা চেহারা সুন্দর্যর উপর প্রমাণ বহন করে এবং দুনু হাত শারিরিক গঠনের উপর প্রমাণ বহন করে।হানাফি মাযহাব মতে টাখনু পর্যন্ত পা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।এমনি কারো সামনেও।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১৮/১৯৯)