আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
611 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। শায়েখ,
(১) https://ifatwa.info/24458/ তে প্রশ্ন করেছিলাম,
"আমাদের বাসায় একটাই বাথরুম আর সেখানে কমোড বসানো। ইস্তিঞ্জার সময় স্প্রেয়ার দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের সময় পানি ছিটে হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। সেগুলো আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি ধুয়ে ফেলতে। কিন্তু ট্যাপের পানিতে স্প্রেয়ার বা শরীরের নাপাকি লাগা স্থানগুলো ধোয়ার সময় দেখা যায় সেখান থেকে পানি ছিটে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনা এসবে লাগে। লাগার ব্যাপারটা মোটামুটি নিশ্চিত হলেও কোথায় লেগেছে তা ঠিক বোঝা যায় না।
যা হোক, আমি চেষ্টা করি যেন শরীরে কোনো নাপাকি লেগে না থাকে। এভাবে আমার বাথরুমে প্রায় ১ ঘণ্টা বা কখনো কখনো তারও বেশি সময় ব্যয় হয়। এতে বেশ পানিও খরচ হয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে বাসার অন্যদের জন্য এটি কখনোবা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বদনার পানি আমি প্রতিবারই সতর্কতাস্বরূপ ফেলে দিই, কিন্তু বদনার গা ধোয়া হয় না। বদনা ধুতে গেলে সেখান থেকে আবার পানি ছিটে শরীর ও অন্যান্য জায়গায় লাগে।

এখন এহেন পরিস্থিতি বিবেচনায় বদনা কি পাক ধরতে পারব? আর বালতি গুলো?"

জবাবে বলা হয়েছিল,
"প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনায় যদি নাপাকির চিন্হ পাওয়া গেলে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
নতুবা নয়।

ইহার থেকে সতর্কতামূলক বেঁচে থাকার লক্ষে নাপাক ধরে নিয়ে ধৌত করাই উচিত।"

শায়েখ, বালতি, বদনা এসবে পানি/ছিটা লাগলে তো ভিতরেও লাগার সম্ভাবনা বেশি। বালতি/ বদনার পানিতে গিয়ে পড়ল কিনা তা খেয়াল করা হয় না। অবশ্য এগুলো ভরা থাকলে বা কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলে পানি বা ছিটা পড়তে দেখা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, আগের মতো এগুলোতেও যদি নাপাকির চিহ্ন না পাওয়া যায়, তবে কি বালতি-বদনার পানিকে পাক ধরতে পারব?
কারণ প্রায় প্রতিবারই ইস্তিঞ্জা বা নাপাকি ধোয়ার সময় এমন হয়, আর প্রতিবার বদনা, বালতির পানি ফেলে দিয়ে ধোয়া তো কিছুটা কষ্টকর, বেশ সময় ও পানি ব্যয় হয়। এ অবস্থায় করণীয় কী? বালতির পানিকে কি পাক ধরতে পারব? বিষয়টি নিয়ে পেরেশানিতে আছি।

(২) কমোডের নিচ থেকে ছিটে আসা পানি বা অন্য নাপাকি ধোয়ার সময় যদি গা থেকে বালতিতে পড়ে, তবে তা নাপাক হবে কি?
(৩) পা ধোয়ার সময় পানি যদি দেয়ালের নিচের দিক বেয়ে ফ্লোরে পড়ে তবে দেয়ালের ওই জায়গা ধুতে হবে কি? দেখা যায় সেটা ধুতে গেলে পানি ছিটে আবার পায়ে লাগে...
এসব অবস্থায় করণীয় কী? এগুলো নিয়ে বেশ পেরেশানি হচ্ছে।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফ থেকে ইস্তেঞ্জার সময় নাপাকি থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার গুরুত্ব বুঝা যায়।

 হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইস্তেঞ্জার সময়ে স্প্রেয়ার দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের সময় পানি ছিটে যে হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে,এক্ষেত্রে সেই স্থান গুলি সতর্কতার সহিত ধোয়া প্রয়োজন। 
যাতে অন্য কোনো বস্তু নাপাক না হয়।
সেই ছিটে আসা পানি ধৌত করতে গিয়ে সেই পানি বদনা/বালতিতে পড়লে সতর্কতামূলক বদনা/বালতির ভিতরে থাকা পানি ফেলে দিবেন।
গায়ে লাগলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
,
সতর্কতার সহিত উক্ত ছিটে আসা পানি শরীর কাপড় থেকে ধোয়া হলে আশা করা যায় এতো সময় ব্যায় হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
,
(০২)
হ্যাঁ এক্ষেত্রে বালতির পানিকে নাপাক গন্য করবেন।
,
(০৩)
দেওয়ালের সেই স্থান ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
পরবর্তীতে বাথরুমে প্রবেশের সময় ফ্লোর ধুয়ে নিবেন।   



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
শায়েখ, এক্ষেত্রে কি বদনা, বালতির পানি ফেলে দিয়ে একবার ধোয়াই যথেষ্ট?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 299 views
...