আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। শায়েখ,
(১)
https://ifatwa.info/24458/ তে প্রশ্ন করেছিলাম,
"আমাদের বাসায় একটাই বাথরুম আর সেখানে কমোড বসানো। ইস্তিঞ্জার সময় স্প্রেয়ার দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের সময় পানি ছিটে হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। সেগুলো আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি ধুয়ে ফেলতে। কিন্তু ট্যাপের পানিতে স্প্রেয়ার বা শরীরের নাপাকি লাগা স্থানগুলো ধোয়ার সময় দেখা যায় সেখান থেকে পানি ছিটে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনা এসবে লাগে। লাগার ব্যাপারটা মোটামুটি নিশ্চিত হলেও কোথায় লেগেছে তা ঠিক বোঝা যায় না।
যা হোক, আমি চেষ্টা করি যেন শরীরে কোনো নাপাকি লেগে না থাকে। এভাবে আমার বাথরুমে প্রায় ১ ঘণ্টা বা কখনো কখনো তারও বেশি সময় ব্যয় হয়। এতে বেশ পানিও খরচ হয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে বাসার অন্যদের জন্য এটি কখনোবা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বদনার পানি আমি প্রতিবারই সতর্কতাস্বরূপ ফেলে দিই, কিন্তু বদনার গা ধোয়া হয় না। বদনা ধুতে গেলে সেখান থেকে আবার পানি ছিটে শরীর ও অন্যান্য জায়গায় লাগে।
এখন এহেন পরিস্থিতি বিবেচনায় বদনা কি পাক ধরতে পারব? আর বালতি গুলো?"
জবাবে বলা হয়েছিল,
"প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনায় যদি নাপাকির চিন্হ পাওয়া গেলে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
নতুবা নয়।
ইহার থেকে সতর্কতামূলক বেঁচে থাকার লক্ষে নাপাক ধরে নিয়ে ধৌত করাই উচিত।"
শায়েখ, বালতি, বদনা এসবে পানি/ছিটা লাগলে তো ভিতরেও লাগার সম্ভাবনা বেশি। বালতি/ বদনার পানিতে গিয়ে পড়ল কিনা তা খেয়াল করা হয় না। অবশ্য এগুলো ভরা থাকলে বা কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলে পানি বা ছিটা পড়তে দেখা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, আগের মতো এগুলোতেও যদি নাপাকির চিহ্ন না পাওয়া যায়, তবে কি বালতি-বদনার পানিকে পাক ধরতে পারব?
কারণ প্রায় প্রতিবারই ইস্তিঞ্জা বা নাপাকি ধোয়ার সময় এমন হয়, আর প্রতিবার বদনা, বালতির পানি ফেলে দিয়ে ধোয়া তো কিছুটা কষ্টকর, বেশ সময় ও পানি ব্যয় হয়। এ অবস্থায় করণীয় কী? বালতির পানিকে কি পাক ধরতে পারব? বিষয়টি নিয়ে পেরেশানিতে আছি।
(২) কমোডের নিচ থেকে ছিটে আসা পানি বা অন্য নাপাকি ধোয়ার সময় যদি গা থেকে বালতিতে পড়ে, তবে তা নাপাক হবে কি?
(৩) পা ধোয়ার সময় পানি যদি দেয়ালের নিচের দিক বেয়ে ফ্লোরে পড়ে তবে দেয়ালের ওই জায়গা ধুতে হবে কি? দেখা যায় সেটা ধুতে গেলে পানি ছিটে আবার পায়ে লাগে...
এসব অবস্থায় করণীয় কী? এগুলো নিয়ে বেশ পেরেশানি হচ্ছে।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।