উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
অমুসলিমদের জন্য দোয়া করার কয়েকটি ছুরত হতে পারেঃ
(০১) অমুসলিমরা যাতে ইসলাম গ্রহণ করে, হেদায়েতপ্রাপ্ত হয় এ ধরনের কোনো দোয়া করা।
এ ধরনে দোয়া করা জায়েজ এবং উত্তম। রসূল (সা.) এ ধরনের দোয়া করেছেন
হাদিস শরিফে এসেছে,
ইবনে উমর (রা.) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেছেন:
‘হে আল্লাহ্! এই দুই জন লোকের মধ্যে যে ব্যক্তি আপনার কাছে অধিক প্রিয় তার মাধ্যমে আপনি ইসলামকে শক্তিশালী করুন: আবু জেহেল কিংবা উমর বিন খাত্তাব।’ [সুনানে তিরমিযি; হাদিস: ৩৬৮১]
(০২) অমুসলিমদের জন্য গুনাহের ক্ষমা প্রার্থণা করা কিংবা এ-জাতীয় কোন দোয়া করা।
আলেমগণের ইজমার ভিত্তিতে এটি হারাম।
ইমাম নববী বলেন: ‘পক্ষান্তরে, কাফেরের জন্য রহমত প্রার্থনা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা এটি কুরআনের দলিল ও ইজমার ভিত্তিতে হারাম।’ [আল-মাজমু ৫/১২০]
(০৩) অমুসলিম ব্যক্তির রোগ মুক্তি ও আরোগ্যের জন্য দোয়া করা।
এটা জায়েজ নয়।
তবে এই দোয়াতে যদি ইসলামের দিকে ধাপিত করা উদ্দেশ্যে থাকে, তাহলে জায়েয। যেমন- তার সামনে যদি আল্লাহর নিকট দোয়া করা হয় এবং সে দোয়া যদি আল্লাহ কবুল করেন, তাহলে হয়তবা সে ইসলাম গ্রহণ করবে।,বা ইসলামের প্রতি তার মন আকৃষ্ট হবে।
সুতরাং এসব শর্ত পাওয়া না গেলে দোয়া করা উচিত নয়। তা জায়েজ হবেনা।
★তবে কিছু উলামায়ে কেরাম বলেন যে স্বাভাবিক অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনায় অমুসলিমদের রোগমুক্তির জন্য আল্লাহপাকের নিকট দোয়া করা যাবে।
কেননা, আল্লাহপাক সকল মানুষেরই স্রষ্টা। তবে যুদ্ধাবস্থায় বা অস্বাভাবিক কোনো পরিবেশে ইসলাম ও মুসলিম সমাজের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে থাকাবস্থায় কোনো অমুসলিম সামরিক বা তাদের অনুসারীদের রোগমুক্তির দোয়া ইসলামসম্মত নয়।