আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
3,104 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
reopened by
আমার মাঝেমাঝেই প্রশ্রাবের ৩-৪ মিনিট বা কখনো ১০-১৫ মিনিট পর দুই বা এক ফোঁটা প্রশ্রাব চলে আসে(প্রশ্রাবের পর বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি)। যখন এরপর ওযু করে নামাযে দাঁড়াই তখন নামাযের মধ্যেই মনে হয় এক ফোঁটা বের হয়েছে। চেক করলে কখনো দেখি আসলেই বের হয়েছে আবার কখনো দেখি বের হয়নি। এখন নামাযে যদি মনে হয় বের হয়েছে(সঠিক কিনা জানিনা) তখন কি নামাজ ছেড়ে দিবো নাকি শেষ করবো?
যদি শিওর হই এক ফোঁটা বের হয়েছে এবং তা সিকি পরিমাণ ক্ষেত্রফলের কম তাহলে নামায ও ওযু বাতিল হয়ে যাবে? এবং কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?
যদি নাপাক হয়, এক ফোঁটা কাপড়ে লাগলে একটু পরই শুকিয়ে যায়, চেক করতে গেলে যদি দেখি শুকনো তখন কিভাবে পাক করবো?
সর্বশেষ জামাতে এমন হলে কি ডানদিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ থেকে উঠে যাবো এবং ওযু করে এসে হাত উঠিয়ে তাকবির বলে আগের জায়গা থেকে শুরু করবো নাকি সরাসরি উঠে গিয়ে সরাসরি আগের জায়গায় থেকে শুরু করবো?
আবার যদি জামাতে আগেই ১ রাকাত পাইনি এবং ৩য় রাকাতে ওযু চলে গেছে, এসে আর জামাত পাইনি তখন কিভাবে নামাজ শেষ করবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শয়তান মু'মিন দের অন্তরে ওয়াসওয়াসা ঢেলে দেয়,
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রস্রাব বের হচ্ছে কি না? এ নিয়ে সন্দেহ হলে নামাযকে না ভেঙ্গে বরং আপনি নামাযকে চালিয়ে যাবেন।নামায শেষ করার পর যদি দেখা যায় যে, কাপড় বা শরীরে প্রস্রাবের ছিটা পড়েছে, এবং তা এক দিরহাম থেকে বেশী,তাহলে তখন আপনি অজু করে আবার নামাযকে পড়ে নিবেন।আর যদি প্রস্রাবের কোনো ছিটা তাতে না পাওয়া যায়, তাহলে আপনি তখন আর নামাযকে দোহড়াবেন না।বরং আপনার নামায হয়ে গেছে।

নামাযের মধ্যে প্রস্রাব বের হওয়ার পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হলে, নামায থেকে বের হয়ে অজু করে এসে নামায পড়বেন। নামায থেকে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

নামাযের যে রুকুন থেকে আপনি বের হবেন, সেই রুকুন থেকেই আবার নামায শুরু করবেন।

যদি কেউ ইমামের সাথে এক রাকাত না পায়, এবং এমতাবস্থায় অজু চলে যায়,তাহলে সে প্রথমে বিনা কিরাতে অজু ছুটে যাওয়া রুকুন আদায় করে ইমামের সাথে শরীক হবে।এবং একেবারে শেষে প্রথম রাকাত পড়বে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
–1
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ, 
জনাব, অনেকেই বলে থাকে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলেই(হোক ১ ফোঁটা) অযু,  নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। বিষয়টি দুরকম মতভেদ কেন হচ্ছে যদি একটি সহজ করে বলতেন।
by (597,330 points)
+1
আপনারা কেন সহজ কথা বুঝেন না। প্রস্রাবের ফোটা সামান্য বের হলেই অজু ছুটে যায়, আর অজু ছুটে গেলে নামাযই হবে না। 
by (4 points)
কাপড় পরিবর্তন করতে হবে?
by (597,330 points)
জ্বী, কাপড় পাল্টাতে হবে। 
by
হুজুর, প্রসাব এক ফোটা বের হলে শুকিয়ে যায়। এক্ষেত্রে বুঝব কিভাবে আসলেই বের হয়েছে কিনা? 
by (597,330 points)
সাথে সাথেই দেখে নিবেন।কিংবা দেখবেন, কাপড়ে কোনো দাগ রয়েছে কি না?
by
কাপড় নাপাক হয়ে যাবে কখন???

by (597,330 points)
যখন তাতে এক দিরহাম পরিমাণ নাপাকি লাগবে, তখনই কাপড় নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। 
by
ফোঁটা যদি এক দিরহামের কম পরিমাণ হয় তবে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে এবং নামাজ নষ্ট হবে?
by (597,330 points)
তাহলে কাপড় নাপাক হবে না।এবং নামাযও ফাসিদ হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...