আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
আমার কিছু প্রশ্ন ছিল
১. আমি একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট! আমার  মেডিকেল প্রতিদিন ২ঃ৩০ টার দিকে ছুটি হয়!
মাঝখানে জোহরের নামায আদায়ের জন্য কোনো ব্রেক পাওয়া যায় না! বাসায় যেতে যেতে দুপুর ৩ টার পর বাজে! আমার প্রশ্ন হচ্ছে জোহর নামাজ আমি কয়টা পর্যন্ত পড়তে পারব? হানাফি মাযহাব অনুসারে ৪ঃ১২ পর্যন্ত এবং শাফেয়ী তে ৩ঃ১৩ পর্যন্ত!  আমি নির্দিষ্ট কোনা মাযহাব ফলো করি না! এই ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
২. আমি মেডিকেলে বোরকা নিকাব হাত মোজা পা মোজা পড়ি! আমি যদি অযু করতে চাই, তাহলে কি আমাকে নিকাব এবং মোজা খুলে ওযু করতে হবে নাকি এই ক্ষেত্রে কোনো রুখসত আছে?
৩. নামাযে এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কি কোনো  একটা নির্দিষ্ট মাযহাব মানা বাধ্যতামূলক? না মানলে কি কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কোনো মাযহাব ব্যতিত কিছুই বলা আমাদের জন্য সম্ভব নয়।এত জ্ঞান আমাদের নেই।আমরা কুরআন সুন্নাহর আলোকে রচিত হানাফি ফিকহের বিবরণ অনুযায়ী মাস'আলা বর্ণনা করি।
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী আছরের ওয়াক্ত তথা ৪:১২ পর্যন্ত জেহরের নামায পড়া যাবে।

(২)
অজুর জন্য হাত মোজা পা, মোজা এবং নেকাব খুলতে হবে।
যদি পর্দা সম্মত অজুর কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করে নামায পড়া যাবে।আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/9190
(৩)
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"

মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক অালেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব।এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1936


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...