আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
384 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

১- হায়েজের সময় কি কায়দা পড়া যাবে? আমি তাজওইদ শিখতেছি তাই গ্যাপ দেওয়ার সুযোগ নেই।

২- হায়েজের সময় সকাল সন্ধ্যার দোয়া, আমল গুলো তো করা যায়।

কিন্তু যদি মুখস্ত না থাকে,
বই বা মোবাইল দেখে পড়া যাবে?

এক্ষেত্রে নিয়ম কি?

৩- হায়েজ কখন ভালো হয় নির্দিষ্ট সময় বোঝতে পারিনা। দিন বোঝতে পারি অভ্যাসের জন্য। কিন্তু এক্সেট সময়টা বোঝতে পারিনা। অনেক খেয়াল করার চেষ্টা করি,তাও পারিনা। যেহেতু আমার ১০ দিনই হয়, শেষ সময়ের দিকে একদমই নূণ্যতম থাকে। মাঝে মাঝে ৫-৬ ঘন্টার গ্যাপের পর দেখি আছে, এরকমও হয়। তাই বোঝতে পারিনা সঠিক সময় বা ওয়াক্তটা। মাঝে ভাবি ভালো হয়ে গেছে,পরে দেখি ভালো হয়নি।

তাই অভ্যাসগত দিনের মোটামুটি শেষ সময়টা ধরে নেই ইদানিং একদম নিশ্চিত থাকার জন্য। আগে কিছু না কিছু সংকোচ থাকে।

এতে করে হয়তো ১ বা ২ ওয়াক্ত হের ফের হতে পারে। কিন্তু তাও আমি নিশ্চিত না।

এক্ষেত্রে করণীয় কি??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7218 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে স্পষ্টকরে কিছু আসেনি।তবে হাদীসে স্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে বর্ণিত হয়েছে,
(১)হায়েযা মহিলা জুনুবী মহিলার মতই।যেহেতু উভয়ই গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হন।হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم  كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "
রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)
(১)
জ্বী, কায়দা পড়া যাবে।

(২)
জ্বী, সকাল সন্ধার দু'আ পড়তে পারবেন।চায় মুখস্থ থেকে হোক বা মুবাইল দেখে দেখে হোক।সব রকমই আপনি করতে পারবেন।

(৩)
অসতর্কতার সাথে উক্ত নামাযকে আবার কাযা করে নেবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম, একজন জানতে চাইলেন স্ত্রীর হায়েজ অবস্থায় অন্য কোনো ভাবে স্বামী বীর্যপাত করতে পারবে কিনা?
জানালে উপকৃত হতাম! 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...