আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
edited by
১|হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَاشِمِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ لَعِقَ الْعَسَلَ ثَلاَثَ غَدَوَاتٍ كُلَّ شَهْرٍ لَمْ يُصِبْهُ عَظِيمٌ مِنَ الْبَلاَءِ "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন ভোরবেলা মধু চেটে চেটে খেলে সে মারাত্মক কোন বিপদে আক্রান্ত হবে না।
ইবনু মাজাহ ৩৪৫০, য‘ঈফাহ্ ৭৬৩, য‘ঈফুল জামি‘ ৫৮৩১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৪০৮, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ২৭৭, শু‘আবুল ঈমান ৫৯৩০,মিশকাত ৪৫৭০।)
 শাইখ,যেহেতু হাদীসটা যয়ীফ,তাই এর উপর আমল করা যাবে কিনা?
ওলামায়ে কেরামদের মতামত কি যয়ীফ হাদীসের উপর আমল করা যেতে পারে?
এই হাদীস কি কথার দিকে দূর্বল নাকি সনদের দিক দিয়ে?
২|ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে নাফে! আমার রক্তে উচ্ছাস দেখা দিয়েছে (রক্তচাপ বেড়েছে)। অতএব আমার জন্য একজন রক্তমোক্ষণকারী খুঁজে আনো, আর সম্ভব হলে সদাশয় কাউকে আনবে। বৃদ্ধ বা বালককে আনবে না। কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ বাসি মুখে রক্তমোক্ষণ করালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং তাতে জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। অতএব আল্লাহর বরকত লাভে ধন্য হতে তোমরা বৃহস্পতিবার রক্তমোক্ষণ করাও, কিন্তু বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবারকে রক্তমোক্ষণ করানোর জন্য বেছে নেয়া থেকে বিরত থাকো। সোম ও মঙ্গলবারে রক্তমোক্ষণ করাও, কেননা এ দিনই আল্লাহ আইউব (আ) -কে রোগমুক্তি দান করেন এবং বুধবার তাকে রোগাক্রান্ত করেন। আর কুষ্ঠরোগ ও ধবল বুধবার দিনে বা রাতেই শুরু হয়।
(ইবনে মাজাহ ৩৪৮৭)

মিরকাতুল মাফাতিহ গ্রন্থে এসেছেঃ
(الْحِجَامَةُ عَلَى الرِّيقِ)
 অর্থাৎ খাওয়ার ও পান করার পূর্বে তথা খালি পেটে শিঙ্গা লাগাবে।
আমি জানতে চাইছি,ইবনে মাজার হাদীসে উল্লেখিত বাসীমূখ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
এটা কি শুধু খালি পেঠে  নাকি একেবারে মুখ না ধূয়ে খালি পেঠে।কোনটি?
৩|হযরত আলী সাহাবীর বউ কতজান ছিলেন?উনার মৃত্যুর পর উনার রেখে যাওয়া স্ত্রী গনকে কে কে বিবাহ করেছিল?
৪|মূসা নবী সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন,এখানে কেমন দেহকে সুঠাম বলা হয়?
ইসলামে সুঠাম দেহ বলতে কি বুঝায়,এটার আকৃতি কেমন হবে?
আমাদের নবীও কি সুঠাম দেহী ছিলেন?
৫|সাহাবীরা কি বিবাহ করার পর স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা জায়গায়
বসবাস করতেন কিনা পিতামাতারকে ছেড়ে?মানে প্রয়োজন হলে দেখতে আসতেন,এমন।
৬|আববাদ বিন বিশর রা এর ঘটনা,যেখানে তিনি তীর বিদ্ধ হয়,তবুও তিনি নামায চালিয়ে যান,পরে আম্মার সাহাবীকে জাগিয়ে তুললেন,
এটা কি সত্য হাদীস, এটির পুরো হাদীসটা আমাকে দিন।
৭|ইয়াহুদীরা কেন জীবরিল ও মিকাঈল ফেরেশতাকে শত্রু মনে করে থাকে?
৮|কোন হিন্দুকে আদাব বলা,এখানে আদাব মানে কি?এটা কি ইসলামে জায়েজ?
৯|নম্ষকার মানে কি,এটা বলা কি জায়েজ?
১০|নমস্তে মানে কি,হিন্দুকে এরুপ বলা কি জায়েজ?
১১|নবিজী বলেছেন,রং নেই এমন সুগন্ধি পুরুষের জন্য উত্তম, এখানে কি রকমের সুগন্ধির কথা বলা হচ্ছে?
আবার রং আছে এমন সুগন্ধি মহিলাদের জন্য উত্তম, এখানে কেমন সুগন্ধির কথা বলা হচ্ছে?
১২|দুনিয়ার প্রতি গালেব হওয়া মানে কি?
১৩|দ্বীনের ব্যাপারে তহমত করা মানে কি?
১৪|মর্দে মুজাহিদ মানে কি?
১৫|রেযামন্দি করা মানে কি?
১৬|গাদ্দার মানে কি?শাইখ,আমি যদি কোন আরব সরকার কে গাদ্দার বলি তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি না?
১৭|মানুষের তালিম তারবিয়াত মানে কি?

আমি ইসলামিক বই পড়ে এসব জিনিস জেনেছি,কিন্তু এসবের অর্থ না বুঝার কারণে,আপনাদের সাহায্য দ্বারা জানার জন্য
আবেদন করা, আল্লাহ আমার তাকাদীরে এভাবে লিখেছেন।
আমার রব আপনাদের উপর সন্তুষ্ট হোক,আমীন।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَاشِمِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ لَعِقَ الْعَسَلَ ثَلاَثَ غَدَوَاتٍ كُلَّ شَهْرٍ لَمْ يُصِبْهُ عَظِيمٌ مِنَ الْبَلاَءِ "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন ভোরবেলা মধু চেটে চেটে খেলে সে মারাত্মক কোন বিপদে আক্রান্ত হবে না।
ইবনু মাজাহ ৩৪৫০, য‘ঈফাহ্ ৭৬৩, য‘ঈফুল জামি‘ ৫৮৩১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৪০৮, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ২৭৭, শু‘আবুল ঈমান ৫৯৩০,মিশকাত ৪৫৭০।)

উক্ত হাদীস সনদের দিক থেকে জয়ীফ।
আ'মল ও তারগিবের জন্য যঈফ হাদীসের উপর আ'মল করা বৈধ রয়েছে।

★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসটির উপর আমল করা যেতে পারে।
সমস্যা নেই। 
,
ইমাম আহমাদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরাম বলেন-
ﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﺷﺪﺩﻧﺎ ﻭﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻀﺎﺋﻞ ﻭﻧﺤﻮﻫﺎ ﺗﺴﺎﻫﻠﻨﺎ

অর্থঃ যখন আমরা হালাল – হারামে রেওয়ায়েত করি (সনদে খুব) কড়াকড়ি করি। আর যখন ফযীলাত ইত্যাদির ক্ষেত্রে রেওয়ায়েত করি শিথিলতা করি।(হাফেয সুয়ূতী, তাদরীবুর রাবী ১/২৯৮)

মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি অনুযায়ী বলা যায়, যে ফাযাইলে আ'মালের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা ও তার উপর আ'মল করা জায়েয রয়েছে।তবে মাওযু(বানোয়াট/মিথ্যা)বর্ণনার ভিত্তিতে আ'মল করা জায়েয হবে না।
 
যঈফ হাদীসের উপর আ'মল করা সম্পর্কে জারাহ- তা'দিল এর ইমাম 'ইবনুস সালাহ রাহ,' বলেন,
ﻳﺠﻮﺯ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﺍﻷﺳﺎﻧﻴﺪ ، ﻭﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺎ ﺳﻮﻯ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻉ ﻣﻦ ﺃﻧﻮﺍﻉ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﻀﻌﻴﻔﺔ، ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺍﻫﺘﻤﺎﻡ ﺑﺒﻴﺎﻥ ﺿﻌﻔﻬﺎ، ﻓﻴﻤﺎ ﺳﻮﻯ ﺻﻔﺎﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﺃﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﺸﺮﻳﻌﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻭﻏﻴﺮﻫﻤﺎ . ﻭﺫﻟﻚ ﻛﺎﻟﻤﻮﺍﻋﻆ، ﻭﺍﻟﻘﺼﺺ، ﻭﻓﻀﺎﺋﻞ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ، ﻭﺳﺎﺋﺮ ﻓﻨﻮﻥ ﺍﻟﺘﺮﻏﻴﺐ ﻭﺍﻟﺘﺮﻫﻴﺐ، ﻭﺳﺎﺋﺮ ﻣﺎ ﻻ ﺗﻌﻠﻖ ﻟﻪ ﺑﺎﻷﺣﻜﺎﻡ ﻭﺍﻟﻌﻘﺎﺋﺪ، ﻭﻣﻤﻦ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻋﻨﻪ ﺍﻟﺘﻨﺼﻴﺺ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ : ( ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻣﻬﺪﻱ ) ، ﻭ ( ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺣﻨﺒﻞ ) ، ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ
মুহাদ্দিসিনে কেরামদের নিকট মাওযু ব্যতীত যঈফ তথা সনদের দুর্বলতা সম্ভলিত হাদীস সমূহ কে  বর্ণনা করা জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে দুর্বলতা কে জনসমক্ষে প্রকাশ করা জরুরী নয়।
তবে শর্ত হল,উক্ত যঈফ হাদীস আল্লাহর সিফাত এবং হালাল-হারাম বা আক্বাঈদ সম্ভলিত হতে পারবে না।সুতরাং ওয়াজ,পূর্ববর্তী ঘটনা,এবং ফাযাইলে আ'মাল ও  সকল উৎসাহ প্রদাণ মূলক বিষয়ে যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা যাবে এবং তার ভিত্তিতে আ'মল করা যাবে। যেমন আব্দুর রহমান ইবনে মাহদি রাহ, আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ থেকে হাদীস বর্ণনা করা যাবে।
(মু'আক্বাদাহ ইবনে সালাহ)

আরো জানুনঃ  
,
(০২)
শুধু খালি পেটেও হবে।
একেবারে মুখ না ধূয়ে খালি পেটেও হবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৩)
★বাকি প্রশ্নগুলোর জবাব জানুনঃ

(১৮)
গাদ্দার মানে নিমক হারাম,খিয়ানত কারী।।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...