★★ইস্তিঞ্জার সুন্নাতসমূহ
১. মাথা ঢেকে রাখা। (বাইহাকী শরীফ, হাদীস নং-৪৫৬)
২. জুতা-স্যান্ডেল পরিধান করে যাওয়া। (তাবাকাতে ইবনে সা‘আদ’, ১৮৫/ কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১৭৮৭২)
৩. পায়খানায় প্রবেশের পূর্বে এই দু‘আ পড়া- (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-৫)
بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ.
৪. দু‘আ পড়ার পর আগে বাম পা ঢুকানো। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৩২)
৫. কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে না বসা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১৪৪)
৬. যথাসম্ভব বসার নিকটবর্তী হয়ে ছতর খোলা এবং বসা অবস্থায় পেশাব ও পায়খানা করা, দাঁড়িয়ে পেশাব না করা। (নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং-২৯/ তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-১৪)
৭. পেশাব ও নাপাক পানির ছিঁটা হতে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বেঁচে থাকা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২১৮)
৮.পানি খরচ করার পূর্বে ঢিলা-কুলুখ (বা টয়লেট পেপার) ব্যবহার করা। (বাইহাকী, হাদীস নং-৫১৭)
৯. ঢিলা ও পানি খরচ করার সময় বাম হাত ব্যবহার করা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১৫৪)
১০. পেশাবের ফোঁটা আসা বন্ধ হওয়ার জন্য আড়ালে সামান্য চলাফেরা করা। (ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদীস নং-৩২৬)
১১.যেখানে পেশাব ও পায়খানার জন্য নির্ধারিত কোন জায়গা নেই, সেখানে এমনভাবে বসা যেন ছতর নজরে না পড়ে। (আবু দাউদ হাদীস নং-২)
১২. পেশাবের জন্য নরম বা এমন স্থান তালাশ করা যেখান থেকে পেশাবের ছিঁটা শরীরে বা কাপড়ে না লাগে। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৩)
১৩. ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করা। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং-৮৩)
১৪. ডান পা দিয়ে বের হওয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৩২)
১৫. বাইরে এসে এই দু‘আ পড়া- (আবু দাউদ, হাদীস নং-৩০/ ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩০১)
غُفْرَانَكَ اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذٰى وَعَافَانِيْ.
,
★★পানি পান করার সুন্নাত সমূহ
১. পানির পেয়ালা ডান হাত দিয়ে ধরা।(মুসলিম, হাদীস নং- ২০২০)
২. বসে পান করা, বসতে অসুবিধা না হলে দাঁড়িয়ে পান না করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০২৪)
৩. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আলহামদুলিল্লাহ বলা।(তাবরানী আওসাতা, হাদীস নং- ৬৪৫২)
৪. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা এবং শ্বাস ছাড়ার সময় পানির পাত্র মুখ হতে সরিয়ে নেয়া।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬৩১)
৫. পাত্রের ভাঙ্গা দিক দিয়ে পান না করা।(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭২২)
৬. পাত্র যদি এমন হয়, যার ভিতর নজরে আসে না, সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কারণ, তাতে কোন বিষাক্ত প্রাণী ক্ষতি সাধন করতে পারে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬২৬)
৭. পানি পান করার পর এই দু‘আ পড়াঃ
اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَا تًا بِرَحْمَتِه وَلَمْ يَجْعَلْهٗ مِلْحًا اُجَاجًا بِذُنُوْبِنَا.
৮. পানীয় দ্রব্য পান করে কাউকে দিতে হলে ডান দিকের ব্যক্তিকে আগে দেয়া এবং এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ীই শেষ করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬১৯)
৯. উযু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে আরোগ্য লাভ হয়।(শামী, ১ : ১২৯/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬১৬)
১০. দুধ পান করার পূর্বে এই দু‘আ পড়াঃ
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ.
(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৩০)
দুধ ব্যতীত অন্য কোন পানীয় দ্রব্য হলে وَزِدْنَا এর পরে خَيْرًا বৃদ্ধি করা। (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, ১২৭)
১১. যে ব্যক্তি পান করাবে তার সর্বশেষে পান করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ৬৮১)
১২. যমযমের পানি কিবলামুখী হয়ে এ দু‘আ পড়ে পান করাঃ
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ.
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৯১১২/ সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং- ২৭১২)
,
★★খানা খাওয়ার সুন্নাত সমূহ
১. উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৬১)
২. দস্তরখানা বিছিয়ে খানা খাওয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৩৮৬)
বি.দ্র.(ক) প্রথমে খানা তথা আল্লাহর নেয়ামতের দিকে মুখাপেক্ষী হয়ে বসা, তারপর দস্তরখানা বিছানো। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৩৮৫, ৫৩৯৯)
(খ) দস্তরখানা খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এর উপর ঝুটা (উচ্ছিষ্ট খাবার) হাড্ডি ইত্যাদি না ফেলা বা তাতে পা না রাখা উচিত। (মুসলিম হাদীস নং- ২০৩৩)
৩. (উঁচু স্বরে) বিসমিল্লাহ পড়া।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৩৭৬)
৪. ডান হাত দিয়ে খাওয়া। (বুখারী, হাদীস নং- ৫৩৭৬/ মুসলিম, হাদীস নং- ২০২০)
৫. খানার মজলিসে বয়সের দিক দিয়ে যিনি বড় এবং বুযুর্গ, তাঁর দ্বারা খানা শুরু করানো। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০১৭)
৬. খাদ্য এক ধরনের হলে নিজের সম্মুখ হতে খাওয়া।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৩৭৬)
৭.খাদ্যের কোন অংশ পড়ে গেলে উঠিয়ে (প্রয়োজনে পরিষ্কার করে) খাওয়া।(মুসলিম, হাদীস নং- ২০৩৩)
৮. হেলান দিয়ে বসে না খাওয়া।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৩৯৮)
৯. খাদ্যের ত্রুটি বের না করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৪০৯)
১০. জুতা পরিহিত থাকলে জুতা খুলে খানা খাওয়া।(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং- ৭১২৯)
১১. খানার সময় তিনভাবে বসা যায়।
ক. উভয় হাঁটু উঠিয়ে এবং পদ যুগলে ভর করে। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০৪৪)
খ. এক হাঁটু উঠিয়ে এবং অপর হাঁটু বিছিয়ে। (শরহুস্ সুন্নাহ, হাদীস নং- ৩৫৭৭)
গ. উভয় হাঁটু বিছিয়ে অর্থাৎ নামাযে বসার ন্যায় বসে সামান্য সম্মুখ পানে ঝুঁকে আহার করা। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৭৩)
বি.দ্র. উযরের কারণে আসন দিয়ে বসারও অনুমতি আছে।(সূরা নূর, আয়াত-৬১/ আল ইতহাফ, ৫ : ৪৮০)
১২. আহার গ্রহণ শেষে খানার পাত্রসমূহ আঙ্গুল দ্বারা ভালভাবে চেটে পরিস্কার করে খাওয়া। এতে খাবারের পাত্রসমূহ আহারকারীর জন্য মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে দু‘আ করে। হাতের আঙ্গুলসমূহ যথাক্রমে মধ্যমা, শাহাদাত, বৃদ্ধা চেটে খাওয়া।(মুসলিম, হাদীস নং- ২০৩৩/ তিরমিযী, হাদীস নং- ১৮০৪/ তাবরানী আউসাত, হাদীস নং- ১৬৪৯)
১৩. খানা শেষে এই দু‘আ পড়াঃ
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِيْنَ.
(আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৫০)
১৪. খানা শেষে আগে দস্তরখানা উঠিয়ে তারপর নিজে উঠা। (ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩২৯৫)
১৫. দস্তরখানা ও অবশিষ্ট খানা উঠানোর সময় এই দু‘আ পড়াঃ
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِىٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا.
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৪৫৮)
১৬. খানা খেয়ে উভয় হাত ধোয়া।(তিরমিযী, হাদীস নং- ১৮৪৬)
১৭. কুলি করে মুখ পরিষ্কার করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৪৫৫)
১৮. খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়ার পর খানার মাঝে এই দু‘আ পড়াঃ
بِسْمِ اللهِ اَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ
(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৬৭)
১৯. কারো মেহমান হয়ে খানা খেলে প্রথমে আল্লাহর শুকর আদায়ে ১৩নং এ বর্ণিত দু‘আ পড়ার পর মেযবানের শুকরিয়া আদায়ে এই দু‘আ পড়াঃ (মুসলিম, হাদীস নং- ২০৫৫)
اَللّٰهُمَّ اَ طْعِمْ مَنْ اَ طْعَمَنِىْ، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ
হাদীসে মেযবানকে শুনিয়ে এ দু‘আটি পড়তেও উৎসাহিত করা হয়েছেঃ
اَكَلَ طَعَامَكُمُ الْاَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ وَاَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ.
(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৮৫৪)
২০. খানা খাওয়ার সময় একেবারে চুপ থাকা মাকরূহ। এজন্য খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পরস্পরে ভাল কথা আলোচনা করা। কিন্তু যে ধরনের কথা বা সংবাদে দুশ্চিন্তা বা ঘৃণার উদ্রেক হতে পারে, তা খানার সময় বলা অনুচিত।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৩৭৬)
,
★★ঘুমানোর সুন্নাত সমূহ
১. ইশার নামাযের পর যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চেষ্টা করা, যাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠা সহজ হয়। (বুখারী, হাদীস নং- ৫৪৭)
বি.দ্র. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীন, চৌকি, কাপড়ের বিছানা, চাটাই, চামড়ার বিছানা ইত্যাদির উপর শয়ন করেছেন বলে হাদীসে বর্ণিত আছে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ২০৬৯/ শামায়িলে তিরমিযী, পৃ. ২২)
২. উযু করে শয়ন করা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৬৩১১)
৩. শোয়ার পূর্বে বিছানা ভালভাবে ঝেড়ে নেয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৬৩২০)
৪. শয়নের পূর্বে পরিহিত কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমের কাপড় পরিধান করা। (আল মাদখাল, ৩ : ১৬২)
৫. শয়নের পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে নিম্নে বর্ণিত কাজগুলো করা : ১. দরজা বন্ধ করা। ২. মশক বা পানির পাত্র এবং খাদ্য দ্রব্যের পাত্র ও অন্যান্য পাত্রসমূহ ঢেকে রাখা। যদি ঢাকার জন্য কোন বস্তু না পাওয়া যায়, তাহলে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে তার মুখে একটি লাটি বা ছড়ি রেখ দেয়া, ৩. বাতি নিভানো। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬২৩-২৪)
৬. ঘুমানোর পূর্বে উভয় চোখে তিনবার করে সুরমা লাগানো। (মুস্তাদরাক, হাদীস নং- ৮২৪৯)
৭. ঘুমানোর পূর্বে কিছু পরিমাণ কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা। যথা : আলহামদু শরীফ, সূরা কাফিরূন, আয়াতুল কুরসী, আমানার রসূল থেকে সূরা বাক্বারার শেষ পর্যন্ত, সূরা মুলক, আলিফ লাম মীম সিজদাহ ইত্যাদি তিলাওয়াত করা বেশি পড়া সম্ভব না হলে কমপক্ষে ছোট ২/ ৩ টি সূরা পড়ে নেয়া।(তাবারানী কাবীর হাদীস নং-২১৯৫/ আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং- ১২০৯/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৩২৭৫)
৮. ঘুমানোর পূর্বে কয়েকবার দরূদ শরীফ পাঠ করা এবং তাসবীহে ফাতেমী অর্থাৎ ৩৩ বার সূবাহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৩১১৩)
৯. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস প্রত্যেকটা তিনবার করে পড়ে হাতে দম করে যতটুকু সম্ভব মাথা হতে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে হাত মুছে দেয়া। তিনবার এরূপ করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫০১৭)
১০. ঘুমানোর সময় ডান কাতে কিবলামুখী হয়ে শোয়া সুন্নাত। উপুড় হয়ে শয়ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এভাবে শয়ন করাকে আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন না। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৬৩১৪/ সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস নং- ৫৫৪৯)
১১. শয়ন করে এ দু‘আ পড়াঃ
بِاسْمِكَ رَبِّـىْ وَضَعْتُ جَنْبِيْ وَبِكَ اَرْفَعُهٗ اِنْ اَمْسَكْتَ نَفْسِيْ فَاغْفِرْلَهَا وَاِنْ اَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِه عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ.
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৬৩২০)
১২. ঘুমানোর পূর্বে তিনবার এই ইস্তিগফার পড়াঃ
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ.
(তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৩৯৭)
১৩. এই দু‘আটিও পড়া:(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৬৩১৪)
اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَاَحْيَا.
১৪. সর্বশেষে এ দু‘আটি পড়াঃ
اَللّٰهُمَّ اَسْلَمْتُ وَجْهِيْ اِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ اَمْرِيْ اِلَيْكَ وَاَلْجَاْ تُ ظَهْرِيْ اِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً اِلَيْكَ لَا مَلْجَاَ وَلَا مَنْجَاَ مِنْكَ اِلَّا اِلَيْكَ اَللّٰهُمَّ اٰمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِيْ اَ نْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِيْ اَرْسَلْتَ.
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ২৪৭)
১৫. শয়ন করার পর ভয়ে ঘুম না আসলে এই দু‘আ পড়াঃ
بِسْمِ ا للّٰهِ اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهٖ وَشَرِّ عِبَادِهٖ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَاَنْ يَّحْضُرُوْنَ.
(তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৫২৮)
১৬. স্বপ্নে ভয়ংকর কিছু দেখে চক্ষু খুলে গেলে তিনবার
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ.
পড়ে বাঁ দিকে থু-থু ফেলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া। তাতে ক্ষতির আর কোন আশংকা থাকে না এবং এ দু‘আটি পড়াঃ
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هٰذِهِ الرُّؤْيَا.
(মুসলিম, হাদীস নং- ২২৬২)
১৭. সুযোগ হলে দুপুরে খানার পর কিছুক্ষণ কাইলূল্লাহ করা অর্থাৎ শয়ন করা। চাই ঘুম আসুক বা না আসুক। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৯৩৯)