মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।
আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।
সূরা নিসা-৫৯
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
: (ما يَضْرِبُه السلطانُ على الرعية مصلحةً لهم يصير دَيْنًا واجبًا وحقًّا مُستحقًّا كالخراج، وقال مشايخنا: وكل ما يضربه الإمام عليهم لمصلحة لهم فالجواب هكذا).
ভাবার্থঃ
প্রজাদের কল্যাণে তাদের উপর বাদশা/সরকার যে কর আরোপ করে তা ওয়াজিব ঋণের মত(আদায় করা ওয়াজিব),এবং(ইসলামের একটি সু-নির্দিষ্ট বিধান) খারাজের মত।(আদায় করা ওয়াজিব)
আয়কর প্রজাদের উপর সরকারের প্রাপ্য বা হক্ব।আমাদের মাশায়েখ উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রজাদের কল্যাণ কামনায় প্রজাদের উপর সরকার কর্তৃক যে কোনো প্রকারেরই 'কর' আরোপিত হোক না কেন, তার বিধান একই(তথা আদায় করা ওয়াজিব)।
রদ্দুল মহতার-২/৫৭
,
আরো জানুনঃ
(০১)
এমন আইন মানতে হবে,নতুবা গুনাহ হবে।
এট তাগুতের আনুগত্য নয়।
,
(০২)
এটি আল্লাহর আইন নয়,দেশিয় সরকারের আইন।
তাহা আদায় করা জরুরি।
তাগুতের আনুগত্য হবেনা।
,
(০৩)
এমন আইন মানা জায়েজ হবেনা।
তবে কেহ সে আইন অনুযায়ী চললে ঈমান চলে যাবেনা।
হ্যাঁ যদি আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করে,তাহল্র ঈমান চলে যাবে।
,
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা।
তবে তার এ কাজের সাথে তাগুতের আনুগত্য করা বা না করার সম্পৃক্ততা নেই।
এটি তার গুনাহ।