আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার কিছু জিজ্ঞাসা আছে। অনেকদিন আগে আমি কোন এক লেখায় পড়েছিলাম 'স্বামী-স্ত্রী হওয়া সত্বেও ব্যাভিচারের দায়ে অনেকে জাহান্নামি হবে।' বলা ছিল, অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী এর মধ্যে কেউ একজন কোন বড় শিরক করলো, সে আর তখন মুসলমান থাকে না। যেহেতু মুসলিম-অমুসলিমে বিয়ে হয় না, তাই তখন তাদের বিয়েটা আর বৈধ থাকে না। এরপরে তারা নিজেদের অজান্তে সারাজীবন যদি একসাথে থাকে তারা ব্যাভিচারী বলে গণ্য হবে। অনেক আগের পড়া, আমার বিস্তারিত মনে নাই। আমার স্বামী বেনামাজী, শুধু শুক্রবারে নামাজ আদায় করেন, রোজা রাখেন, কোরবানি দেন, আর এক আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস করেন। কিন্তু যেহেতু ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান সামান্য, আমার অনেক সময় মনে হয় তার কথা শিরক হয়ে যাচ্ছে। এখন আমি জানতে চাই যে আমার ক্ষেত্রে উপরোক্ত ধরনের কিছু ঘটেছে কিনা কিভাবে নিশ্চিত হব বা আমার আশঙ্কা থাকলে কি করা উচিত? আমি আমার স্বামীকে কিভাবে দ্বীনের পথে আনতে পারি? মৌখিকভাবে বুঝিয়ে কাজ হচ্ছে না। আমি আল্লাহর কাছে কি আমল করে তার ইসলামের পথে আসার জন্য দোয়া করতে পারি? আমি সন্তান নেয়ার জন্য চেষ্টা করতে ভয় পাচ্ছি। বেনামাজি লোকের সন্তানের উপর রহমত বরকত কম থাকে বা তারা সহজে ঈমানদার হিসেবে গড়ে উঠবে না, এই আশংকা করছি। আমি কি আমার স্বামীর দ্বীনের পথে ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করব নাকি এই অবস্থাতেই সন্তানের জন্য চেষ্টা করব? আমি নিজে একজন নতুন প্র্যাকটিসিং মুসলিম, কথায় ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। জাযাকাল্লাহ।


এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্নটি করা। ইনশাআল্লাহ দ্রুত উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা তওবার ১১৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۱۱۹﴾

হে মুমিনগণ,তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। 

 “তোমরা সবাই সত্যবাদীদের সাথে থাক” বাক্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের অনুরূপ আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। [ইবন কাসীর]
,
হাদীসেও সত্যবাদিতার গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা সত্যবাদিতা অবলম্বন কর; কেননা সত্যবাদিতা সৎকাজের দিকে নিয়ে যায়, আর সৎকাজ জান্নাতের পথনির্দেশ করে। মানুষ সত্য বলতে থাকে এবং সত্য বলতে চেষ্টা করতে থাকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর দরবারে তাকে সত্যবাদী হিসেবে লিখা হয়। আর তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাক; কেননা মিথ্যা পাপের পথ দেখায়, আর পাপ জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়, আর একজন মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে এবং মিথ্যা বলার চেষ্টায় থাকে শেষ পর্যন্ত তাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে লিখা হয়।” [বুখারী ৬০৯৪; মুসলিম; ২৬০৭]
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত করে দিতে পারেন।
অথবা কোনো হক্কানী শায়েখের কাছে তাকে পাঠাতে পারেন।
,
এতে ইনশাআল্লাহ সৎ লোকদের সঙ্গে থাকার কারনে একটি প্রতিক্রিয়া ভিতরে তৈরী হবে,ইনশাআল্লাহ। 
,
যার কারনে পরিপূর্ণ ভাবে সে দ্বীনের পথে চলার পরিবেশের মর্ম বুঝে তিনি পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করবেন,ইনশাআল্লাহ।   
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্পষ্ট কাফের হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন,কোনো যেনা হবেনা।
,
আপনি বাচ্চা নিন,শুধুমাত্র প্রশ্নে উল্লেখিত অজুহাতে বাচ্চা নেওয়া থেকে বিলম্ব করা জায়েজ নয়।
এর কারনে আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।  
,
আপনার উল্লেখিত আশংকা সঠিক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...