আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
edited by

1  কত ওয়াক্ত নামজ না পড়লে কাফির হয়ে যাবে 

2 যে শুধু জুম্মা ও দুই ঈদের নামাজ পড়ে সে কি কাফির

3 নমাজ না পড়ার যে কবরের আযাব সেটা কি যারা একদম নামাজ পরে তাদের জন্যে না যারা ৩,৪ ওয়াক্ত পরে আবার মাঝে মাঝে ৫ ওয়াক্তও পরে তাদের জন্য

4 কাউকে ফজর এ ডাক দিলে আমি কি তার নামজের পূর্ণ সওয়াব পাব 

5 বর্ণবাদ করলে কি কাফির হয়ে যায় কারণ এখানে তো সে আল্লাহ ও তার  রাসূল সা  এর বিরোধিতা করছে

6 যে ব্যাক্তি অনেক কবিতা গুনাহ করে যেমন গান শোনা মুভি দেখা এবং এগুলো সে সারাদিনই করে এবং এগুলো করার ফলে তার মনে একটু খারাপও লাগে না কিন্ত নামাজ পরে তাকে যদি বলা হয় যে এভাবে চলতে থাকলে তুমি জাহান্নামে জাবা তাহলে কি ভুল বলা হবে

আগেও এ প্রশ্নদুটি করে ছিলাম কিন্তু ভুল বুঝাবুঝির জন্য উত্তর টি পায়নি 

7 আমি ইসলাম সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামের ভিতর যত জিনিস আছে সে সবগুলো সম্পর্কে ভালো জানতে চাই আকিদা , আহকাম সমুহ এবং সেগুলো কিভাবে করতে হয় , সব বিষয়ে   মাসআলা , তাজকিয়া , ইসলামী রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা  ইত্যাদি । আমিতো ইসলামের সব জিনিসের নামও জানি না কিন্তু একজন ভালো আলেম তো সেসব জিনিস জানবেন যদি বইয়ের বাম না জানেন তাহলে শেষ। প্রত্যেক জিনিসের নাম বইলেন

8 যদি কোনো সাধারণ ব্যাক্তি শাতেমে রাসূল সাঃ কে মারে তাহলে কি তার ওপর জান্নাত ওয়াজিব

9 জান্নাত ওয়াজিব হলে কি সে ব্যাক্তি যদি অনেক কবীরাহ গুনাও করে তাহলেও কি সে জান্নাতে যাবে,

 

 

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
নামাজ ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদীস শরীফে কঠিন হুমকি এসেছে।
,  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: أَتَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِيْ عَمَلًا إِذَا أَناَ عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَالَ لاَ تُشْرِكْ بِاللهِ شيئاً وَإِنْ عُذِّبْتَ وَحُرِّقْتَ وَأَطِعْ وَالِدَيْكَ وَإِنَّ أخرجاك مِنْ مَالِكٍ وَمِنْ كُلِّ شَيٍّء هُوَ لَكَ وَلاَ تَتْرُكِ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَإِنَّهُ مَنْ تَرَكَ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللهِ

মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন আমল শিখিয়ে দেন; যা করলে আমি জান্নাত প্রবেশ করতে পারব।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক (অংশী) করো না; যদিও তোমাকে সে ব্যাপারে শাস্তি দেওয়া হয় এবং পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। তোমার মাতা-পিতার আনুগত্য কর; যদিও তারা তোমাকে তোমার ধন-সম্পদ এবং সমস্ত কিছু থেকে দূর করতে চায়। আর ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করো না; কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করে তার উপর থেকে আল্লাহর দায়িত্ব উঠে যায়।
(ত্বাবারানীর আউসাত্ব ৭৯৫৬, সহীহ তারগীব ৫৬৯)

অন্য হাদীসে আছেঃ
 
عَن ابنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ قَالَ مَن تَرَكَ الصَّلاَةَ فَلاَ دِينَ لَه

ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার দ্বীনই নেই।

(মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৭৬৩৭, ৩০৩৯৭, ত্বাবারানীর কাবীর ৮৮৪৭-৮৮৪৮, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৪৩, সহীহ তারগীব ৫৭৪)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজ না পড়লে কেউ কাফের হয়ে যায়না।
হ্যাঁ কেহ যদি নামাজ অস্বীকার করে,বা ঠাট্রা হাসাহাসি করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
,
★তবে কিছু ইমামমের মতে ইচ্ছাপূর্বক ভাবে বিনা ওযরে নামাজ ত্যাগ করলে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যায়।
,
(০২)
কাফের হবেনা।
,
(০৩)
উভয়ের জন্যই কম বেশি আযাব হবে।
তবে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিলে তাহা ভিন্ন কথা।      
(০৪)
আপনি ছওয়াব পাবেন।
তার নামাজের পূর্ণ ছওয়াব নয়।
,
(০৫)
এতে কাফের হবেনা।
,
(০৬)
হুমকি স্বরুপ যদি বলা হয় যে এভাবে চলতে গেলে তুমি জাহান্নামে যাবা,সেটি নাজায়েজ হবেনা।
তবে সতর্কতামূলক এভাবে বলবেন যে এগুলো জাহান্নামিদের কাজ। 
,
(০৭)
মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ এর আহকামে জিন্দেগী বইটি পড়ুন।
,
(০৮)
তার জান্নাত ওয়াজিব হওয়া সংক্রান্ত তথ্য কুরআন হাদীসে নেই।
,
(০৯)
না,আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ না করলে সে সরাসরি জান্নাতে যেতে পারবেনা।        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...