আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্,
উস্তাদজী ,


১  নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপুড় হয়ে শোয়া বারণ করেছেন , এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি দুই হাতের কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে কোনো কাজ করে বা পড়ে এক্ষেত্রে কি ঐ একই মাসআলা ?
গোনাহ হবে সেই ব্যক্তির ?
২  কোনো ব্যক্তি যদি জন্মদিন উপলক্ষে বাড়িতে ভালো রান্না করে তার গরীব আত্মীয় বা কোনো এতীম মিসকিনদের খাওয়ায় তবে কি গোনাহ হবে ? কোনো কিছু পাওয়ার আশা নয় , আর এ ক্ষেত্রে নিজের গরীব আত্মীয় আগে পাবে নাকি অন্য এতীমদের ।
৩  কোনো ক্বারীআ যদি অন্য কাউকে হিফজ করার দায়িত্ব নেয় ( অন্যরা হিফজ করবে সে ভুল ঠিক করে দিবে , কোরআন দেখে পড়া শুনবে )  তবে এটা জায়েজ হবে ?
‌

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রেও সে উক্ত নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
তাই এহেন অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিত।
,   
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طِخْفَةَ الْغِفَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَصَابَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بَطْنِي فَرَكَضَنِي بِرِجْلِهِ وَقَالَ " مَا لَكَ وَلِهَذَا النَّوْمِ هَذِهِ نَوْمَةٌ يَكْرَهُهَا اللَّهُ أَوْ يُبْغِضُهَا اللَّهُ " .

কায়েস ইবনে তিখফা (তাহ্ফা) আল-গিফারী (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মসজিদে উপুড় হয়ে শোয়া অবস্থায় পেলেন। তিনি তাঁর পা দ্বারা আমাকে খোঁচা মেরে বলেনঃ তোমার এ ধরনের শোয়া কিরূপ। এ ধরনের শোয়া তো আল্লাহ অপছন্দ করেন বা ঘৃণা করেন।
তিরমিযী ২৭৬৮, আবূ দাউদ ৫০৪০,ইবনে মাজাহ ৩৭২৩ আহমাদ ১৫১১৫, ১৫১১৭, ২৩১০৩, মিশকাত ৪৭১৮, ৪৭১৯, ৪৭৩১।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ يَعِيشَ بْنِ طَخْفَةَ بْنِ قَيْسٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ: كَانَ أَبِي مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: انْطَلِقُوا بِنَا إِلَى بَيْتِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَانْطَلَقْنَا، فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا فَجَاءَتْ بِحَشِيشَةٍ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا فَجَاءَتْ بِحَيْسَةٍ مِثْلِ الْقَطَاةِ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا فَجَاءَتْ بِعُسٍّ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا فَجَاءَتْ بِقَدَحٍ صَغِيرٍ فَشَرِبْنَا، ثُمَّ قَالَ: إِنْ شِئْتُمْ بِتُّمْ، وَإِنْ شِئْتُمُ انْطَلَقْتُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ قَالَ: فَبَيْنَمَا أَنَا مُضْطَجِعٌ فِي الْمَسْجِدِ مِنَ السَّحَرِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ يُحَرِّكُنِي بِرِجْلِهِ، فَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ ضِجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللَّهُ قَالَ: فَنَظَرْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

ইয়াঈশ ইবনু তিখফাহ ইবনু কায়িস আল-গিফারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আসহাবে সুফফার সদস্য ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে যেতে বললেন। আমরা সেখানে গেলে তিনি বললেনঃ হে আয়িশাহ! আমাদের আহারের ব্যবস্থা করো। তিনি হাশীশা পরিবেশন করলেন এবং আমরা খেলাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আয়িশাহ! আমাদেরকে আরো খাবার দাও! এবার তিনি কবুতরের মতো সামান্য হায়সা নিয়ে আসলেন এবং আমরা খেয়ে নিলাম। তারপর তিনি বললেন, হে আয়িশাহ! আমাদেরকে পান করাও। অতঃপর তিনি এক গামলা দুধ আনলেন এবং আমরা পান করলাম। পুনরায় তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট পানীয় চাইলে তিনি ছোট এক পেয়ালা পরিবেশন করলেন এবং আমরা তা পান করলাম। এবার তিনি বললেনঃ ইচ্ছা করলে তোমরা এখানে ঘুমাতে পারো নতুবা মাসজিদে চলে যাও। আমার পিতা বলেন, আমার বুকের ব্যাথার কারণে আমি মাসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতাম। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি আমাকে তাঁর পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বললেন, এভাবে শোয়া আল্লাহ ঘৃণা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি চোখ তুলে দেখলাম যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
(আবু দাউদ ৫০৪০)

وَعَن أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: رَأَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مُضْطَجِعًا عَلٰى بَطْنِه فَقَالَ:إِنَّ هٰذِه ضِجْعَةٌ لَا يُحِبُّهَا اللهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললেন, এভাবে শয়ন করা আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন না।
তিরমিযী ২৭৬৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৫৪৯, মুসনাদে আহমাদ ৮০৪১, সহীহুল জামি‘ ২২৭০, সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৭৯, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৬৭৯।
,
(০২)
এটি জন্মদিন পালনের নামান্তর,বিধায় তাহা শরীয়ত বহির্ভূত কাজ।
,
(০৩)
হ্যাঁ, জায়েজ আছে।
তবে হাফেজা হলে ভুল ধরা বেশি সম্ভবপর হয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...