হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طِخْفَةَ الْغِفَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَصَابَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بَطْنِي فَرَكَضَنِي بِرِجْلِهِ وَقَالَ " مَا لَكَ وَلِهَذَا النَّوْمِ هَذِهِ نَوْمَةٌ يَكْرَهُهَا اللَّهُ أَوْ يُبْغِضُهَا اللَّهُ " .
কায়েস ইবনে তিখফা (তাহ্ফা) আল-গিফারী (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মসজিদে উপুড় হয়ে শোয়া অবস্থায় পেলেন। তিনি তাঁর পা দ্বারা আমাকে খোঁচা মেরে বলেনঃ তোমার এ ধরনের শোয়া কিরূপ। এ ধরনের শোয়া তো আল্লাহ অপছন্দ করেন বা ঘৃণা করেন।
তিরমিযী ২৭৬৮, আবূ দাউদ ৫০৪০,ইবনে মাজাহ ৩৭২৩ আহমাদ ১৫১১৫, ১৫১১৭, ২৩১০৩, মিশকাত ৪৭১৮, ৪৭১৯, ৪৭৩১।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ يَعِيشَ بْنِ طَخْفَةَ بْنِ قَيْسٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ: كَانَ أَبِي مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: انْطَلِقُوا بِنَا إِلَى بَيْتِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَانْطَلَقْنَا، فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا فَجَاءَتْ بِحَشِيشَةٍ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا فَجَاءَتْ بِحَيْسَةٍ مِثْلِ الْقَطَاةِ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا فَجَاءَتْ بِعُسٍّ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا فَجَاءَتْ بِقَدَحٍ صَغِيرٍ فَشَرِبْنَا، ثُمَّ قَالَ: إِنْ شِئْتُمْ بِتُّمْ، وَإِنْ شِئْتُمُ انْطَلَقْتُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ قَالَ: فَبَيْنَمَا أَنَا مُضْطَجِعٌ فِي الْمَسْجِدِ مِنَ السَّحَرِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ يُحَرِّكُنِي بِرِجْلِهِ، فَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ ضِجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللَّهُ قَالَ: فَنَظَرْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
ইয়াঈশ ইবনু তিখফাহ ইবনু কায়িস আল-গিফারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আসহাবে সুফফার সদস্য ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে যেতে বললেন। আমরা সেখানে গেলে তিনি বললেনঃ হে আয়িশাহ! আমাদের আহারের ব্যবস্থা করো। তিনি হাশীশা পরিবেশন করলেন এবং আমরা খেলাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আয়িশাহ! আমাদেরকে আরো খাবার দাও! এবার তিনি কবুতরের মতো সামান্য হায়সা নিয়ে আসলেন এবং আমরা খেয়ে নিলাম। তারপর তিনি বললেন, হে আয়িশাহ! আমাদেরকে পান করাও। অতঃপর তিনি এক গামলা দুধ আনলেন এবং আমরা পান করলাম। পুনরায় তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট পানীয় চাইলে তিনি ছোট এক পেয়ালা পরিবেশন করলেন এবং আমরা তা পান করলাম। এবার তিনি বললেনঃ ইচ্ছা করলে তোমরা এখানে ঘুমাতে পারো নতুবা মাসজিদে চলে যাও। আমার পিতা বলেন, আমার বুকের ব্যাথার কারণে আমি মাসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতাম। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি আমাকে তাঁর পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বললেন, এভাবে শোয়া আল্লাহ ঘৃণা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি চোখ তুলে দেখলাম যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
(আবু দাউদ ৫০৪০)
وَعَن أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: رَأَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مُضْطَجِعًا عَلٰى بَطْنِه فَقَالَ:إِنَّ هٰذِه ضِجْعَةٌ لَا يُحِبُّهَا اللهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললেন, এভাবে শয়ন করা আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন না।
তিরমিযী ২৭৬৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৫৪৯, মুসনাদে আহমাদ ৮০৪১, সহীহুল জামি‘ ২২৭০, সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৭৯, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৬৭৯।