আসসালামু আলাইকুম।
আমার পরিচিত একজন গভীর হারাম প্রেমে জড়িত ছিল। সে খুব ভালোবাসত তার বান্ধবীকে। তার সাথে জিনাও করেছে সে। এক পর্যায়ে হারাম এড়ানোর জন্য সে খোঁজ-খবর করে লুকিয়ে বিয়ে করার পদ্ধতি জেনে নেয়। তো সে জানলো অনলাইনে একে অপরকে কবুল করে ভয়েস রেকর্ড করে ২জন সাক্ষীকে পাঠালেই হবে। তাই করে তারা। কিন্তু পরে তাদের সাধারণ ঝগড়া হয়, একই সময় মেয়েটার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, সেও তালাক দিয়ে দেয় রাগ করে। কিন্তু পরে সে এই কাজ নিয়ে আফসোস করে। সে অনেক ভেঙে পড়ে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ নিয়ামতে সে হিদায়াত পেয়েছে। পরবর্তীতে কোন হারাম প্রেমে সে জড়ায়নি এবং দ্বীন চর্চা শুরু করেছে, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু সে মেয়েটাকে এখনো অনেক ভালোবাসে। এখনো কান্না করে তার জন্য। তবে সে তার পাপের জন্য অনুতপ্ত এবং সে তওবা করেছে। তবে সে এখনো মেয়েটাকে ভুলতে চায়না। সে মেয়েটার দেয়া উপহারগুলো গুচ্ছিত রেখে দিয়েছে। মেয়েটার সব ম্যাসেজ এখনও রেখে দিয়েছে সে। সে অনেক বেশি করে চায় মেয়েটাকে ফিরে পেতে।
১. তার এই বিয়ে কি কবুল হবে? সে ওই মুহূর্তে ভেবেছিল তার বিয়ে কবুল হয়েছে।
২. সে চায় সেই মেয়েটাকে ফিরে পেতে, তাই সে আল্লাহের কাছে দোয়া করে চাইত যেন আল্লাহ তার হারাম ভুল ক্ষমা করে দিয়ে তার কাছে মেয়েটাকে হালাল সম্পর্কে ফিরিয়ে দেয়। তবে সে সরাসরি মেয়েটার স্বামী-সংসারের ক্ষতি কামনা করত না, বরং তাদের জন্য বরকত ও হিদায়াতের দোয়া করত। শুধু মেয়েটাকে ফিরে পাওয়ারই দোয়া করত। এটা কি জায়েজ?
৩. মেয়েটার সাথে তার পুরনো ছবিগুলো সে বারবার দেখতে চায়, এটা কি জায়েজ হবে?
৪. সে মেয়েটার সাথে কাটানো সব স্মৃতি লিখে রাখতে চাই, কারণ সে খুব মিস করে মেয়েটাকে। এটা কি জায়েজ হবে?
৫. সে চায়না মেয়েটাকে ভুলতে। এটা করা অনুচিত বলা হলে সে বলতে চায়, মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসে সে। চায় না তাকে ভুলতে। এরপর নবি ইয়াকুব(আ) এর উদাহরণ দিয়ে বলে ইয়াকুব(আ.) সন্তানহারার বেদনায় কাতর ছিলেন। কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। সেও তার প্রিয় মানুষের জন্য কাঁদছে, সে চায়না মেয়েটাকে ভুলতে যতদিন ইয়াকুব(আ) নবির মতো আল্লাহ তাকেও একটা ফায়সালা করে না দেন। ততদিন সে এভাবে মেয়েটাকে মনে করতে চায়। এটা কি জায়েজ হবে?
৬. তাছাড়া তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে আবেগের বসে সে মেয়েটাকে নিয়ে ভাবতে পারে, কাঁদতে পারে। সেক্ষেত্রে কি তার গুনাহ হবে?
৭. মেয়েটার ম্যাসেজগুলো সে রাখতে পারে?