আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
308 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (97 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার পরিচিত একজন গভীর হারাম প্রেমে জড়িত ছিল। সে খুব ভালোবাসত তার বান্ধবীকে। তার সাথে জিনাও করেছে সে। এক পর্যায়ে হারাম এড়ানোর জন্য সে খোঁজ-খবর করে লুকিয়ে বিয়ে করার পদ্ধতি জেনে নেয়। তো সে জানলো অনলাইনে একে অপরকে কবুল করে ভয়েস রেকর্ড করে ২জন সাক্ষীকে পাঠালেই হবে। তাই করে তারা। কিন্তু পরে তাদের সাধারণ ঝগড়া হয়, একই সময় মেয়েটার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, সেও তালাক দিয়ে দেয় রাগ করে। কিন্তু পরে সে এই কাজ নিয়ে আফসোস করে। সে অনেক ভেঙে পড়ে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ নিয়ামতে সে হিদায়াত পেয়েছে। পরবর্তীতে কোন হারাম প্রেমে সে জড়ায়নি এবং দ্বীন চর্চা শুরু করেছে, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু সে মেয়েটাকে এখনো অনেক ভালোবাসে। এখনো কান্না করে তার জন্য। তবে সে তার পাপের জন্য অনুতপ্ত এবং সে তওবা করেছে। তবে সে এখনো মেয়েটাকে ভুলতে চায়না। সে মেয়েটার দেয়া উপহারগুলো গুচ্ছিত রেখে দিয়েছে। মেয়েটার সব ম্যাসেজ এখনও রেখে দিয়েছে সে। সে অনেক বেশি করে চায় মেয়েটাকে ফিরে পেতে।
১. তার এই বিয়ে কি কবুল হবে? সে ওই মুহূর্তে ভেবেছিল তার বিয়ে কবুল হয়েছে।

২. সে চায় সেই মেয়েটাকে ফিরে পেতে, তাই সে আল্লাহের কাছে দোয়া করে চাইত যেন আল্লাহ তার হারাম ভুল ক্ষমা করে দিয়ে তার কাছে মেয়েটাকে হালাল সম্পর্কে ফিরিয়ে দেয়। তবে সে সরাসরি মেয়েটার স্বামী-সংসারের ক্ষতি কামনা করত না, বরং তাদের জন্য বরকত ও হিদায়াতের দোয়া করত। শুধু মেয়েটাকে ফিরে পাওয়ারই দোয়া করত। এটা কি জায়েজ?

৩. মেয়েটার সাথে তার পুরনো ছবিগুলো সে বারবার দেখতে চায়, এটা কি জায়েজ হবে?

৪. সে মেয়েটার সাথে কাটানো সব স্মৃতি লিখে রাখতে চাই, কারণ সে খুব মিস করে মেয়েটাকে। এটা কি জায়েজ হবে?
৫. সে চায়না মেয়েটাকে ভুলতে। এটা করা অনুচিত বলা হলে সে বলতে চায়, মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসে সে। চায় না তাকে ভুলতে। এরপর নবি ইয়াকুব(আ) এর উদাহরণ দিয়ে বলে ইয়াকুব(আ.) সন্তানহারার বেদনায় কাতর ছিলেন। কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। সেও তার প্রিয় মানুষের জন্য কাঁদছে, সে চায়না মেয়েটাকে ভুলতে যতদিন ইয়াকুব(আ) নবির মতো আল্লাহ তাকেও একটা ফায়সালা করে না দেন। ততদিন সে এভাবে মেয়েটাকে মনে করতে চায়। এটা কি জায়েজ হবে?

৬. তাছাড়া তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে আবেগের বসে সে মেয়েটাকে নিয়ে ভাবতে পারে, কাঁদতে পারে। সেক্ষেত্রে কি তার গুনাহ হবে?

৭. মেয়েটার ম্যাসেজগুলো সে রাখতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3920 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও প্রেম ভালবাসা হারাম।সুতরাং অতীত জীবনের জন্য খালিছ নিয়তে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চান।
মহিলার যদি তার স্বামীকে পছন্দ না হয়,সে তার স্বামীর নিকট খুলার আবেদন করতে পারবে।খুলা হলো,নিজের মহরকে মাফ করে দিয়ে বা ফিরিয়ে দিয়ে বিনিময়ে সে তার স্বামীর কাছে তালাক চাইবে।স্বামী রাজী না হইলে প্রাপ্ত মহর থেকে বেশীও কিছু দিতে পারবে।স্বামী রাজী না হলে কাযী সাহেব বা কোর্টে তালাকের আবেদন করবে।তখন কাযী সাহেব বা কোর্ট তালাক প্রদানের জন্য স্বামীকে মজবুর করবে।কিংবা কোর্ট নিজেই বিবাহ ভঙ্গের ফয়সালা দিয়ে দিবে।

অন্যর স্ত্রীকে নিজের জন্য কামনা করা বা নিজের করে পাওয়ার জন্য দু'আ যিকির করা আল্লাহ বিধিনিয়মে সীমালঙ্ঘনের শামিল।সুতরাং কোনো ব্যক্তি পরস্ত্রী বা পরস্বামীকে নিজের করে পাওয়ার জন্য দু'আ, যিকির করা কখনো জায়েয হবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
..........পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।(সূরা বাকারা-২১৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
উক্ত মেয়ের সাথে আপনার বিয়ে শুদ্ধ ছিলনা।আপনি অতিত অনেক গোনাহ করেছেন।এবং বর্তমানে ঐ মেয়ের কথা স্বরণ করে আরও গোনাহ করে যাচ্ছেন।তাই আপনার জন্য আর উক্ত মেয়ে সম্পর্কে কোনো প্রকার চিন্তা করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 8,377 views
...