আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
উস্তাদ আমি একজন বোন
১.দ্বীনের পথে ফিরে আসার আগে প্রায়ই স্বপ্ন দেখতাম
আমি বাহিরে বসে আছি তখনই আসমান থেকে তারা খসে এসে আমার কোলে এসে পড়তো, একবার চন্দ্রও এমন কোলে এসে পড়েছে দেখতেছি,
আবার এমন দেখেছি সূর্য রক্তের মতো লাল এবং সেটা পশ্চিম আকাশে উদয় হয়েছে
এমনটা দেখার মানে কি?

২.উস্তাদ আমি অবিবাহিত কিন্তু মাঝে মধ্যে স্বপ্ন দেখি এক শুভ্র শিশু আমার কোলে খুব হাসি খুশি খেলা ধুলা করতেছে।
৩.আমাদের এলাকায় হিন্দু রাজা নাটেশ্বর এর দখলে ছিলো এবং সেই সময়ে আমাদের এলাকায় ইসলাম প্রচারক হিসেবে এসেছিলেন শাহ শরীফ বোগদাদি রহ. এবং ওনার মৃত্যুর পর আমাদের এলাকার একটা জায়গায় শায়িত করা হয়।
যেখানে দূর দূরান্ত থেকে অনেক অনেক মুসল্লি আসেন যিয়ারত করতে।
আমি স্বপ্নে দেখি সেই জায়গায় শয়তান খারাপ জ্বীনেরা আক্রমণ করে সেই স্থানকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য।
সেই মূহুর্তে শুধুমাত্র আমিই সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং তাদের সাথে আমার খুব লড়াই হয় দোয়া দরুদের মাধ্যমে এবং আমি উচ্চ স্বরে বলতে থাকি তোরা এই স্থানের কিছুই করতে পারবি না এটা আমি রক্ষা করবো।
তারা আমায় নানাভাবে আক্রমণ করে এবং আমি বারংবার দোয়া দরুদপাঠ করে নিজেকে রক্ষা করতেছি এবং স্বপ্নে দেখি সেই স্থানটাকে রক্ষা করি। এবং আমি প্রচুর কান্না করতেছিলাম
যেই কান্নার শব্দ এবং অশ্রু সজাগ হওয়ার পরও টের পাই। এবং খুব অস্থির হয়ে যাই।
এই স্বপ্নটা দেখেছিলাম ৮থেকে ৯বছর আগে,যা এখনো স্পষ্ট ভাসে চোখের মধ্যে।
এখনো মনে হলে খুব অস্থির হয়ে যাই।

উস্তাদ এমন স্বপ্ন দেখার মানে কি
এটা কি কোনো অর্থ বহন করে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত সবগুলি স্বপ্নই ভালো।
আপনি দ্বীনের পথে অটল অবিচল থাকুন, নেক আমল চালিয়ে যান।  
স্বপ্ন গুলির কারনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।
,
২য় স্বপ্নটি ভবিষ্যতে আপনার সুন্দর সন্তান হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...