আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in সালাত(Prayer) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম
উস্তাদ, আমরা জানি, যে সফরের সময় কসর সালাত পড়তে হয়। কিন্তু আমরা যারা মহিলারা সফরের সময় সালাত আদায় করতে পারি না, ঐরকম ব্যবস্থাও প্রায় সময় ই থাকে নাহ। তখন কসরের সালাত কি কাযা আদায় করা যায়???
আর দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, সফররত অবস্থায় সালাত কাজা হয়ে গেলে পরে নিজ বাসস্থানে ফিরত আসার সময় কি সম্পূর্ণ ফরজ নামাজ কাজা আদায় করতে হবে নাকি কসরের সময় শুধু দুই রাকাত ফরজ আদায় করতে হয় তা আদায় করতে হবে???

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/573 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
জরুরী অবস্থায় নামায সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়াতে(১/৩৪৮পৃঃ) সবিস্তারে বর্ণিত আছে,প্রয়োজনীয় কিছু অংশ নিচে উল্লেখ করছি......
এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা ।

যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী ।
গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । তবে যানবাহনে যদি কেউ বিনা ওযরে বসে নামায পড়ে বা কিবলা থেকে চেহারা ফিরে যায়, তাহলে নামায দুহরিয়ে নিতে হবে । [প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া ৪ : ৮৮ # ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ ২ : ১২০]

সফরের অবস্থায় নামায আদায়- পুরুষ-মহিলা যার যেভাবে সম্ভব সে সেভাবেই আদায় করবে।পুরুষ যেভাবে আদায় করবে,মহিলারাও ঠিক সেভাবেই আদায় করবে।

প্রতিটি রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নারী-পুরুষ উভয়ের বিশেষকরে নারীদের নামাযের ব্যবস্থা রাখা হুকুমতের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যাতে পথচারী তার ইবাদতকে প্রশান্তির সাথে পালন করতে পারে।পুরুষের নামাযের ব্যবস্থা অনেক জায়গায় পাওয়া গেলেও নারীদের কোনো ব্যবস্থা নেই।হুকুমতের টনক নড়াতে মুসলমানদের সজাগ হতে হবে।আল্লাহ মুসলমান এবং হুকুমত সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করার তাওফিক দান করুক। ওজুর স্থান না পেলে তায়াম্মুম করে নেয়া যেতে পারে। সাথে একটি পাথর রাখা যেতে পারে।

(২)
সফরের হালতে কাযা হয়ে যাওয়া নাসাযকে পরবর্তীতে যখন আদায় করা হবে,তখন কসরই আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...