বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
★ হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ
حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا
" .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ
করবে, সে আমাদের
দলভুক্ত নয়, আর যে ব্যাক্তি
আমাদের ধোকা দিবে সেও আমাদের দলভূক্ত নয়। সহীহ মুসলিম ১৮৫
★ বিবাহ সহীহ
হওয়ার জন্য শর্ত হল
আযাদ
প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দু’জন মুসলিম পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা
স্বাক্ষীর সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষ পাত্র/পাত্রি তা কবুল
করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। সুতরাং বিয়ের মজলিসে সাক্ষীর
উপস্থিত ছাড়া বিয়ে সহীহ হবে না।
হাদিস শরিফে
এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ ، أَنّ
رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ لا نِكَاحَ إِلا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا
كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ ، فَهُوَ بَاطِلٌ
আয়শা রাযি.
থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, অভিবাক ও দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি
ব্যতিত বিয়ে শুদ্ধ হয় না। যে বিবাহ অভিবাক ও সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত হবে তা
বাতিল। (সহিহ ইবন হিব্বান ৪০৭৫)
ফাতওয়ায়ে
হিন্দিয়াতে রয়েছে-
فى الدر المختار- ( و )
شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر
المختار ، كتاب النكاح،-3/9)
অনুবাদ-বিবাহ
সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন
দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয়
বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল
মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/২৬৮}
★ শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে
পারবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
فانكحوا ما طاب لكم من
النساء مثنى وثلاث ورباع
তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার
করতে পারবে না, তাহলে
একজনকে (বিয়ে করো)...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩)
একাধিক বিবাহ করতে চাইলে বাংলাদেশী আইনে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। না নিলে
প্রথম স্ত্রী মামলা করলে জেল হয়ে যাবে।
আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন
করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن
خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
আল্লাহতায়ালা
বলেন, একাধিক
বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম
অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক
বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক।
وَعَنْ أَبِىْ
هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ
امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه
سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ
مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর
সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে
কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে।
(সহীহ : তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ
১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল
জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্
তারগীব ১৯৪৯।)
وقال فی الدر ( مع
الرد، کتاب النکاح، باب القسم ۴: ۳۷۹،۳۸۰، ط: مکتبة زکریا دیوبند): (یجب) وظاھر الآیة
أنہ فرض، نھر (أن یعدل) أي: أن لا یجور (فیہ) أي: فی القسم بالتسویة فی البیتوتة
(وفی الملبوس والمأکول) والصحبة الخ، وفي ص ۳۸۴منہ:(والبکر والثیب
والجدیدة والقدیمة والمسلمة والکتابیة سواء) لإطلاق الآیة اھ
যার সারমর্ম হলো ইনছাফ করতে না পেলে একাধিক বিবাহ জায়েজ নেই।
আরো বিস্তারিত- https://ifatwa.info/6683/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বিতীয়
স্ত্রীকে প্রথম বিয়ের কথা না জানিয়ে বিয়ে করলে বিয়ে সহীহ হয়ে যাবে। তবে তাকে ধোঁকা
দেওয়ার গুনাহ হবে। কারণ সে প্রথম বিয়ের কথা শুনলে হয়তো এই বিয়েতে রাজি হতো না। আর
যদি স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীকে বলে যে, আমি
আগে বিয়ে করিনি তাই বলে বিয়ে করে, তাহলে মিথ্যা বলারও গুনাহ হবে।
উল্লেখ্য
যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রথম বিয়ের কথা না জানিয়ে বিয়ে না করাই
উত্তম। কারণ এতে সংসারে সুখ শান্তি থাকে না।