আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
3,254 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
আওয়াবীনের নামাজ কখন পড়তে হয়? অনেক ইমাম বলছেন, মাগরিবের পর আবার অধিকাংশ আলেম দের বক্তব্য শুনেছি যে এটা সকালে পড়তে হয়।চাশতের আর এক নাম ই নাকি আওয়াবীন।কোন টা বিশ্বাস করবো?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী   মাগরিবের ফরয এবং সুন্নাতের পর কমপক্ষে ছয় রাকআত এবং সর্বাপেক্ষা বিশ রাকআত নফল নামাজকে আওয়াবীনের নামাজ বলা হয়। হাদিসে এই ছয় রাকাত আওয়াবীনের ফযিলতের ১২ বছরের ইবাদত করার সওয়াব অর্জিত হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। 
এছাড়াও আরো ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। 

এ নামাযটির ব্যাপারে হাদিস
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ الْعُكْلِيُّ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ الْيَمَامِيُّ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাতের পর ছয় রাকআত নফল সালাত (নামায/নামাজ) পড়লো এবং তার মাঝখানে কোন মন্দ কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদাতের সম-পরিমাণ সওয়াব দান করা হলো। (ইবনে মাজা ১১৬৭, তিরমিজি  ৯৮ নং পৃষ্ঠা)

হযরত আম্মার বিন ইয়াসির রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলেন  যে ব্যাক্তি মাগরীবের পর ৬ রাকাত আওয়াবীনের নামাজ পড়বে,তাহলে তার গুনাহ সমুহ মাফ করে দেওয়া হবে,যদিও তার গুনাহ সাগরের ফেনা সমপরিমাণ হয়। 
(  ইবনে মাজা ৮১ পৃষ্ঠা)

হযরত হুযাইফা (রা) বলেন “আমি নবীজি (সা)-র কাছে এসে তার সাথে মাগরীবের সালাত আদায় করলাম। তিনি মাগরীবের পরে ইশার সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।” সহীহ হাদিস। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, নসাঈ, সুনানুল কুবরা)।
,
★তবে আহলে হাদীস সহ কিছু ইসলামী স্কলার গন বলেন যে  আওয়াবীনের নামায আসলে চাশতের নামাযের অপর নাম।
তাদের দলিল হলোঃ
 মহানবী (সাঃ) বলেন, “চাশতের নামায হল আওয়াবীনের নামায।” (জামে ৩৮২৭নং) 

তারা বলেন যে হাদীসে মাগরীব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাযকে আওয়াবীনের নামায বলা হয়েছে, তা সহীহ নয়; যয়ীফ। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৪৬১৭, যইফ জামে ৫৬৭৬নং)
,
তাদের দাবী হলো 
তিরমিযী ও ইবনে মাজাতে যে ৬ রাকআত নামায মাগরেবের পর পড়লে ১২ বছর ইবাদতের সমান হওয়ার কথা বলা হয়েছে তা সহীহ নয়। বরং তা দুর্বল হাদীস। 
,
আমাদের জন্য উচিত হলো মতবিরোধ না করে উক্ত দুই সময়েই নফল নামাজ পড়া। 
তাহলে উভয় হাদীসের উপর আমল হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...