بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
সূরা আল-মূলক পবিত্র কোরআন
শরীফের ৬৭ তম সূরা। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৩০, রুকু আছে ২টি। সূরা আল-মূলক মক্কায় অবতীর্ণ
হয়। সূরা আল মূলকের নামের অর্থ, সার্বভৌম কর্তৃত্ব। এই সূরা পবিত্র
কোরআন শরীফের ২৯ নং পারায় আছে।সূরা আল-মূলকের পূর্ববর্তী সূরা হচ্ছে সূরা আত-তাহরীম,
আর পরবর্তী সূরা হচ্ছে সূরা আল-কলম।
যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সূরা
মুলক পাঠ করবে,
সূরা মুলক তার জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। তাকে কবরের আযাব থেকে
হেফাজত করবে। এই ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ سُورَةً مِنَ القُرْآنِ
ثَلَاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ، وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ
الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ
‘কুরআনের মধ্যে
ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেয়া
হয়। এ সূরাটি হল তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৪০০; সুনানে তিরমিযী, হাদিস:
২৮৯১]
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত,
من قَرَأَ {تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك} كل لَيْلَة
مَنعه الله بهَا من عَذَاب الْقَبْر
‘যে ব্যক্তি
প্রতি রাতে তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক পড়বে, আল্লাহ তাআলা
তাকে এই সূরার মাধ্যমে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।’ [আমালুল ইয়াউমি ওয়াল লাইলাতি,
নাসাঈ, হাদিস: ৭১১]
সহিহুত তারগিব ২/২৫৩, হাদিস: ১৫৮৯
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন !
সূরা মুলক তেলাওয়াত করলে কবরের
আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এই মর্মে তিরমিযী শরীফে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে সাওয়াল
জবাব হবে না মর্মে হাদীস পাওয়া র্যায় না ।