আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি এখানে অফিস টাইম সকাল ০৯ টা থেকে বিকাল ০৫টা। প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের অন্যান্য উৎসব ভাতার ভাতার সাথে চিকিৎসার বিল প্রতিপূরণ করা হয় এবং দাপ্তরিক কাজের জন্য একটা নির্দিষ্ট এমাঊন্টের মোবাইল বিল দেয়া হয়।
আমার অফিস যেতে প্রায় ৪৫-৫০মিনিট দেরী হয়। আমি যেহেতু অফিসের একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেতন পাই, সেজন্য অফিস যেতে এই দেরীর সময়টার ক্ষতিপূরণ মনে করে (নিয়তে রেখে) অফিস এর প্রদত্ত মোবাইল বিলটা নিই না, মানে অফিসের প্রয়োজনে যে ফোন করা লাগে এটা নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে খরচ করি। এবং মাঝেমধ্যে এক দুইটা চিকিতসা বিল অফিসে জমা দেই না বা নেই না। যদিও আমি চেষ্টা করছি অফিসে ঠিক সময়ে পৌছানোর।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে অফিস থেকে নির্ধারিত সময়ের বেতনের ক্ষতিপূরনের জন্য  উপরোক্ত যে কাজ গুলো করছি এটা কি ঠিক হচ্ছে কি না? আমার করণীয় সম্পর্কে জানতে চাই।

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/26711/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

শরীয়তের মূলনীতি হল

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

 

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি এ বিষয়টা নিয়ে প্রথমে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন।কর্তৃপক্ষ যদি এর উপর সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আপনার জন্য এটা জায়েয হবে।আর যদি কর্তৃপক্ষ রাজি না হয়, তাহলে এভাবে দেড়ি করে অফিসে যাওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা দেড়ি করে প্রতিষ্টানে যোগদান করা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ  অবগত হওয়ার পরও যদি বেতন ভাতা কর্তন না করে, তাহলে বেতন ভাতা আপনার জন্য নাজায়েয হবে না।

যদি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার সুযোগ না থাকে, এবং এই দেড়ি করার জন্য প্রতিষ্টানের কোনো বিশেষ ক্ষতি না হয়,তাহলে এভাবে করাটা আপনার জন্য জায়েয হবে। যদিও আপনার উচিত সঠিক সময়ে প্রতিষ্টানে যোগদান করা। জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...