ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/26711/ নং
ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
শরীয়তের মূলনীতি হল,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ
ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ
ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।
কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা
নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি
দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم " ﻻ
ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।
(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এ বিষয়টা নিয়ে প্রথমে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন।কর্তৃপক্ষ যদি এর
উপর সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আপনার
জন্য এটা জায়েয হবে।আর যদি কর্তৃপক্ষ রাজি না হয়, তাহলে এভাবে
দেড়ি করে অফিসে যাওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা দেড়ি করে প্রতিষ্টানে যোগদান
করা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হওয়ার
পরও যদি বেতন ভাতা কর্তন না করে,
তাহলে বেতন
ভাতা আপনার জন্য নাজায়েয হবে না।
যদি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার সুযোগ না থাকে, এবং এই দেড়ি করার জন্য প্রতিষ্টানের কোনো
বিশেষ ক্ষতি না হয়,তাহলে এভাবে করাটা আপনার জন্য জায়েয হবে।
যদিও আপনার উচিত সঠিক সময়ে প্রতিষ্টানে যোগদান করা। জাযাকুমুল্লাহ।