ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
অন্যের সাথে ওয়াদা
করে তা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى
الله عليه وسلم قَالَ " آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ،
وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটিঃ ১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে
২. যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে এবং ৩. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২
অন্যের সাথে ওয়াদা
করলে তা পূর্ণ করা উচিৎ। তবে যদি কেউ উক্ত ওয়াদা পূর্ণ না করে তাহলে তার গুনাহ হবে
না ইনশাআল্লাহ ।
আল্লাহর নাম বা
সিফাতের উল্লেখ ব্যতীত কসম হয় না। আল্লাহর নাম উল্লেখ পূর্বক কসম করার পর কিছু কসম
এমন রয়েছে,
যেগুলোকে পূর্ণ করা জায়েয নয়। বরং তৎক্ষণাৎ কসম ভঙ্গ করে
কাফফারা আদায় করা জরুরী।
ونوع لا يجوز حفظها، وهو أن يحلف على ترك
طاعة، أو فعل معصية
এমন প্রকার যাকে
হেফাজত করা (কসম পূর্ণ করা) জায়েয নয়।যেমন কোনো নেকীর কাজকে না করার কসম করা বা
কোনো গোনাহের কাজকে সম্পাদন করার কসম করা। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫২)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু
আল্লাহর নাম উচ্ছারণ করেননি। তাই কসম বা শরয়ী শপথ হয়নি। বরং আপনি শুধু নিজে নিজে প্রতিজ্ঞা করে ছিলেন । সুতরাং উক্ত প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলে আপনার কোনো গুনাহ হবে না
ইনশাআল্লাহ। তবে নিজের জন্য বেশী কষ্টকর হবে এমন প্রতিজ্ঞা না করা উচিৎ।