আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,348 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
ইউটিউবে বিভিন্ন কার্টুন টম জেরি সিরিজ, মানুষের কার্টুন বানিয়ে এনিমেশন দিয়ে গল্প তৈরি করা হয়, আরো নানা ধরনের কার্টুন বানানো হয়, সেগুলো কি দেখা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم 

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনুল কারিমে বলেন,

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ [٣١:٦]

একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লুকমান-৬)

কার্টুনও যেহেতু অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের শামিল তাই তা দেখা জায়েজ হবে না।

কুরআনুল কারিমের অন্য জায়গায় আল্লাহ তায়ালা মুমিন বান্দার পরিচয়ে বলছেন, মুমিনরা সফলকাম হয়ে গেছে। যারা নামাজে বিনয়ী ও নম্র। যারা অর্থহীন কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকে। সুরা মুমিন-১-৩

নামাজে বিনয়ী হওয়া আর অর্থহীন কাজ থেকে বিরত থাকা সমমর্যাদার দাবি করছে কোরআন। তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন বলছে, যে কাজ ধর্মীয় কোনো উপকার নেই, বরং ক্ষতির আশঙ্ক রয়েছে এমনটাই অনর্থক কাজ। অনর্থক কাজ উচ্চস্তরের গোনাহ। এর থেকে থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব।

 সাঈদ ইবনে আবুল হাসান রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এর নিকট উপস্থিত ছিলাম।

এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্বাস! আমি এমন ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এসব ছবি তৈরি করি। ইবনে আব্বাস রা. তাঁকে বলেন, এ বিষয় রাসুল সা. কে আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাব।

নবিজিকে আমি বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি কোন প্রাণীর ছবি আঁকবে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন, যে পর্যন্ত সে ছবিতে প্রাণ দিতে না পারবে।

আর সে ছবিতে কখনোই প্রাণ দিতে পারবে না। এ কথা শুনে লোকটি ভীষণভাবে ভয় পেয়ে গেল এবং তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এতে ইবনে আব্বাস রা. বললেন, আক্ষেপ তোমার জন্য! তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পার, তবে এ গাছপালা এবং যে সকল জিনিসের প্রাণ নেই, তা আঁকতে পার। (সহিহ বুখারি, চতুর্থ খন্ড, হাদিস- ২০৮৪ ইসলামিক ফাউন্ডেশান)

এছাড়াও মা আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সা. তাবুক যুদ্ধের সফর থেকে প্রত্যাগমন করলেন। আমি ঘরে পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙ্গিয়েছিলাম।

তাতে ছিল প্রাণীর অনেকগুলো ছবি। নবীজি সা. যখন এটা দেখলেন, তখন তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেন, কিয়ামতের সে সব মানুষের সবচেয়ে কঠিন আজাব হবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টি প্রাণীর অনুরূপ ছবি তৈরি করবে। । (সহিহ বুখারি,৯/৫৫৩০ ইফা)

হাদিস শরিফে আছে, আবদুল্লা ইবনে আব্বাস সূত্রে বর্ণিত রাসুল সা. বলেছেন, কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়।( বুখারি-৯/৫৫২৬ ইফা)


কিছু বছর আগে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ অ্যানিমেটেড কার্টুনগুলোর বিরুদ্ধে অবৈধের ঘোষণা দিয়েছে।


সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত  ইউটিউবে বিভিন্ন কার্টুন টম জেরি সিরিজ মানুষের কার্টুন বানিয়ে এনিমেশন দিয়ে গল্প তৈরী করা হয়,এবং আরো বিভিন্ন কার্টুন সবই বানানো,দেখা হারাম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...