আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
১- আমি আমার স্বামীর সাথে সব কথা শেয়ার করার চেষ্টা করি। সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ।
কিন্তু আমার মনে সন্দেহ হয়, কথা শেয়ারের ক্ষেত্রে তো অনেক সময় মানুষের বর্ননাও এসে যায়। বা কে আমার সাথে কি করলো এসে যায়।

তবে কি গীবত হচ্ছে?

২- আমার এক বান্ধুবী অনেক সমস্যায় আছে। তার শশুড়বাড়ি নিয়ে অনেক সমস্যা। একেবারে ছাড়াছাড়ি অবস্থা পর্যন্ত চলে যাওয়ার অবস্থা হয়।

তো ও আমাকে ওর সমস্যা গুলা+ জুলুম গুলা শেয়ার করে।

আমি ওকে সৎ পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করি।

এক্ষেত্রে ও যে অন্যদের ব্যাপারে শেয়ার করে

বা আমি শুনি।

এটা কি গীবত হবে?

৩- কারো কোন কথায় কষ্ট পেলে, আমি আমার স্বামীকে জানাতে পারব? নাকি এটাও গীবত হবে?

৪- গীবত সম্পর্কে জানতে ভালো বইয়ের নাম বলুন প্লিজ। যাতে আমি বোঝতে পারি কোনটা কোনটা গীবত হচ্ছে।

৫- গীবত থেকে বেচে থাকাটা খুব কষ্টকর মনে হয়। অনেক চেষ্টা করেও মনে হয়, কিছু না কিছু হয়ে যাচ্ছে হয়তো।

এ থেকে কিভাবে বাচতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


গীবতের গুনাহ খুবই মারাত্মক, তাই আমাদের জানতে হবে যে  গীবত কি?

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কি? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলঃ আমি যা বলেছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে, তাহলে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ তুমি তার সম্পর্কে যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮৯, ৭০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৪৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৯৩, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১১৬৩}

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ [٤٩:١٢] 

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। {সূরা হুজুরাত-১২}

(০১)
এতে যদি কাহারো দোষ বর্ননা করা হয়,তাহলে গীবত হবে।

(০২)
আপনি যেহেতু সেই জুলুম প্রতিহত করার কোনো শক্তি রাখেননা,তাই আপনার কাছে এগুলো বলা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে। 
,
(০৩)
এটি যদি জুলুম হয়,আর আপনার স্বামী যদি তাহা প্রতিহত করতে পারে,তাহলে বলা যাবে।
নতুবা নয়।
,  

যে সমস্ত কারণে গিবত করা বৈধ হয়।
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০৪)
আল্লামা আব্দুল হাই লাখনৌভি রহঃ এর লিখিত "গীবত"

ইমাম গাজ্জালি রহঃ লিখিত "গীবত এক মারাত্মক কালব্যাধি"

মুফতী তাকি উসমানী দাঃবাঃ লিখিত "গীবত ও পরনিন্দা"
,
(০৫)
এ সংক্রান্ত কোনো আলোচনাই শুরু করা যাবেনা।
কেউ শুরু করলে সাথে সাথেই তাহা বন্ধ করে দিতে হবে।

গীবতের শাস্তির বিষয় ভাবতে হবে।
এ সংক্রান্ত বই পড়তে পারেন,বয়ান শুনতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...