জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পরিবারের জন্য খরচ করা,মা বাবার ভরনপোণের জন্য খরচ করা উত্তম কাজ।
মা বাবা নিজেদের ভরনপোষণের ক্ষেত্রে অসমর্থ হলে সন্তানদের জন্য তাদের ভরনপোষণের খরচ দেওয়া শুধু শরীয়তেই নয় এটা মানবতার দিক লক্ষ্য করেও জরুরি।
মা-বাবা ভরণ-পোষণের অধিকারী হওয়ার জন্য শর্ত হলো দুটি।
★এক. তাঁরা এমন দরিদ্র হতে হবে যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম।
★দুই. সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান ও উপার্জনে সক্ষম হতে হবে। তাদের সামর্থ্যবান হওয়ার পরিমাণ হলো, তাদের মালিকানার সম্পত্তি বা উপার্জনকৃত আয়ের দ্বারা নিজের ও নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকতে হবে। অন্যথায় তাদের উপার্জনকৃত আয়ের মধ্য থেকে যদি তার নিজের ও স্ত্রী বা সন্তান-সন্ততির ভরণ-পোষণের অতিরিক্ত সম্পদ না থাকে, তাহলে মা-বাবা ও ঊর্ধ্বতন আত্মীয়ের ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো, কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণের খরচ চালিয়ে যাবে। (তাবঈনুল হাকায়েক : ৩/৬৪, রদ্দুল মুহতার : ২/৬৭৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ أَعْتَقَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عُذْرَةَ عَبْدًا لَهُ عَنْ دُبُرٍ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَلَكَ مَالٌ غَيْرُهُ قَالَ لَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنِّي فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَدَوِيُّ بِثَمَانِ مِائَةِ دِرْهَمٍ فَجَاءَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ابْدَأْ بِنَفْسِكَ فَتَصَدَّقْ عَلَيْهَا فَإِنْ فَضَلَ شَيْءٌ فَلِأَهْلِكَ فَإِنْ فَضَلَ شَيْءٌ عَنْ أَهْلِكَ فَلِذِي قَرَابَتِكَ فَإِنْ فَضَلَ عَنْ ذِي قَرَابَتِكَ شَيْءٌ فَهَكَذَا وَهَكَذَا يَقُولُ بَيْنَ يَدَيْكَ وَعَنْ يَمِينِكَ وَعَنْ شِمَالِكَ
কুতায়বা (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, উযরা গোত্রের এক ব্যাক্তি নিজের এক গােলামকে বলল যে, সে তার মৃত্যুর পর মুক্ত হয়ে যাবে। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌছলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তােমার কি এ গােলাম ছাড়া অন্য কোন সম্পত্তি আছে? সে বললঃ না। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ গােলামকে আমার কাছ থেকে কে খরিদ করবে? তাকে নুআয়ম ইব্ন আব্দুল্লাহ আদাবী (রাঃ) আটশত দিরহাম দিয়ে খরিদ করে নিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দিরহাম নিয়ে এসে ঐ লােকটিকে দিয়ে দিলেন এবং বললেন, তুমি নিজের থেকে শুরু কর (অর্থাৎ) নিজের জন্য খরচ কর। কিছু উদ্বৃত্ত থাকলে তা নিজ পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ কর। তারপর কিছু উদ্বৃত্ত থাকলে তা নিজ আত্মীয়-স্বজনের জন্য খরচ কর। তারপরও কিছু উদ্বৃত্ত থাকলে তা এরকম এরকমভাবে খরচ করবে এবং স্বীয় ডান হস্ত এবং বাম হস্ত দ্বারা ইশারা করলেন।
নাসায়ী ২৫৪৮.সহীহ। ইরওয়া ৮৩৩, সহীহ জামে' আস-সগীর ২৮।
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে ""উল্লেখ্য তাদের উভয়ের চলার মত তাওফিক রয়েছে""
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেহই আপনার টাকার হকদার নয়।
তাদেরকে কাউকে টাকা দেওয়া আপনার উপর শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব নয়।
আপনি সম্পূর্ণ টাকা নিজের নামে রাখতে পারবেন।