ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
★ মযি বের হলে
গোসল ফরজ হবে না। শুধু অযু ভেঙ্গে যাবে
এবং নাপাকি লাগার স্থান পবিত্র করে নিতে হবে। মযি হলো যা হালকা উত্তেজনার সাথে বের
হয়।
হাদীস শরীফে
এসেছে
عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً،
فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَوْ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ،
فَقَالَ: فِي الْمَذْيِ الْوُضُوءُ، وَفِي الْمَنِيِّ الْغُسْلُ -
আলী (রাঃ) বলেন, আমার খুব বেশি
মযি ঝরতো। বিষয়টা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালাম। তিনি
বললেঃ মযি ঝরলে ওযূ এবং বীর্যপাতে গোসল করতে হয়।
[মুসনাদে আহমাদ
৮৬৯,হাদীস নং ৬৬২
দ্রষ্টব্য।]
★ আর বীর্য বের
হলে গোসল ফরয হয়ে যায়। বীর্য হল যা উত্তেজনার সাথে লাফিয়ে লাফিয়ে আটকিয়ে আটকিয়ে
লিঙ্গ থেকে বের হয়।
আল্লাহ তাআলা
বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
তোমরা জুনুবি হও
তবে (গোসল করে) সারা দেহ পবিত্র করে নাও। (সূরা মায়েদাহ ৬)
আর জুনুবি বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে যার
বীর্য সবেগে ও উত্তেজনার সঙ্গে বের হয়েছে।
যেমন, আল্লাহ তাআলা
বলেন,
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ
خُلِقَ خُلِقَ مِن مَّاءٍ دَافِقٍ
অতএব, মানুষের দেখা
উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে, সে সৃজিত হয়েছে
সবেগে স্খলিত পানি থেকে। (সূরা আত্ব-তারিক্ব ৫, ৬)
রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী রাযি.-কে বলেছিলেন,
فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ
যদি উত্তেজনা
বশতঃ বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল করবে। (আবুদাউদ ২০৬) অন্যথায় নয়।
আরো বিস্তারিত
জানতে - https://ifatwa.info/19453/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.প্রশ্নে
বর্ণানার দ্বারা বুঝে আসছে আপনার ঐটা মযি বের হয়; মনি নয়। তাই শুধু
নাপাকী লাগার স্থান-শরীর ও লুঙ্গি ধৈাত করে নিলেই হবে । গোসল করা লাগবে না। তবে
ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
২. প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে ঈমান যাবে না। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকবেন এবং আল্লাহ
তায়ালার কাছে মাফ চেয়ে নিবেন।