بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ইসলামের
বিধান ওই ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহকে
রব হিসেবে মেনে নিয়েছে। মুহাম্মদ (সা.)-কে নবী ও রাসুল হিসেবে মেনে নিয়েছে। আমৃত্যু
আল্লাহর ইবাদত করার অঙ্গীকার করেছে। শয়নে-স্বপনে, গোপনে-প্রকাশ্যে,
আলোকে-আঁধারে, ছোট থেকে বৃহত্—সব কাজে যে আল্লাহকে স্মরণ করে, ইসলাম তার জন্য। যে নিজেকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়েছে, ইসলাম তার জন্য। যে দুনিয়ার জীবন থেকে পরকালের জীবনকে প্রাধান্য দেয়,
ইসলাম তার জন্য।
ইসলাম
ওই ব্যক্তির জন্য, যে দ্ব্যর্থহীনভাবে
এই ঘোষণা দেয়,
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ
رَبِّ الْعَالَمِينَ
‘বলে দাও, আমার
নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও মরণ বিশ্বজাহানের
রব আল্লাহর জন্য। ’ (সুরা: আনআম, আয়াত: ১৬২)
তাই
প্রত্যেক মুসলমানের করণীয় হলো, যে কাজই সে করুক না কেন, তা কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে মিলিয়ে
দেখা। সব কিছুতে ইসলাম—এ কথার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো
ইসলামে ‘সব কিছু’ আছে। কোরআন বলছে,
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ
وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِينَ
‘...আমি মুসলমানদের জন্য সব বিষয়ে
ব্যাখ্যাদানকারী, পথনির্দেশক, অনুগ্রহ ও
সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৮৯)
ইসলাম
একমাত্র ও সর্বোত্তম জীবনব্যবস্থা। একজন মুসলমান ঘুম থেকে উঠা নিয়ে আবার ঘুমাতে যাওয়া
পর্যন্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক,
সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক—সব কিছুর ওপর ইসলামের বিধান আরোপিত। ইসলামের আংশিক ধারণ করে, বিশেষ ক্ষেত্রে ইসলাম বর্জন করার সুযোগ ইসলামে
নেই। ইরশাদ হয়েছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ
كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ
مُّبِينٌ
‘হে ঈমানদাররা!
তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয়ই
সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। ’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ২০৮)
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা
এই লিংকের https://ifatwa.info/26129/ ফতওয়ায় বলেছিলাম যে,নিজ ভাইয়ের
মেয়ে, নিজ বোনের মেয়ে মাহরাম।তাদেরকে বিবাহ করা জায়েজ নেই।তবে
চাচাতো ভাই/বোনের মেয়ে,খালাতো ভাই/বোনের মেয়ে,ফুফাতো ভাই/বোনের মেয়ে,মামাতো ভাই/বোনের মেয়ে মাহরাম
নয়।তাদের সাথে পর্দা করতে হবে।তাদেরকে বিবাহ করা জায়েজ আছে।
আমাদের
সমাজে পরিপূর্ণ রুপে ইসলাম পালন করা হয় না।যার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদেরকে অধিকারে দিলেও
সামাজ আমাদের সামনে প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায়।প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপনার জন্য উক্ত মেয়েকে
বিয়ে করার জায়েয আছে, তবে করতেই হবে
এমনটি আবশ্যক নয়।সাথে সাথে মা বাবাকে অসন্তুষ্ট করে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করাটাও উচিৎ নয়।
বিধায়
আপনার জন্য করণীয় হলো,আপনি আপনার মা
বাবাকে পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবেন বা স্থানীয় কোন আলেমের মাধ্যমে বুঝানোরে
চেষ্টা করবেন,যদি তারা সম্মতি দেন তাহলে উক্ত মেয়েকে বিয়ে করাতে
কোন সমস্যা নেই। এবং এতে আল্লাহ বরকত দান করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে মাতা পিতা কে অসন্তুষ্ট
করে বিয়ে না করাই শ্রেয়।কেননা এর ফলে পরবর্তিতে সংসার জীবনে অনেক সমস্যা দেখা দেয়,
যা অশান্তির কারণ হয়ে দাড়ায়।