আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
294 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
সূরা আয্‌-যুমার (الزّمر), আয়াত: ১৭

وَالَّذِیۡنَ اجۡتَنَبُوا الطَّاغُوۡتَ اَنۡ یَّعۡبُدُوۡہَا وَاَنَابُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ لَہُمُ الۡبُشۡرٰی ۚ  فَبَشِّرۡ عِبَادِ ۙ
১.এখানে তাগুত কে অস্বীকার করার কথা বলা হয়েছে । এখন কিভাবে অস্বীকার করলে ঈমান ঠিক থাকবে ?

২.কেউ নতুন কোন আইন তৈরি করল সেটি আল্লাহ
বিধানের বিরুদ্ধে যায় সে আইন না মানলে কি গুনাহ হবে ? সে আইন না মানার জন্য ঘুষ দিলে কি গুনাহ হবে ?

৩.কোন মানব রচিত আইন কোরআন হাদিসের সাথে সা‌ঙ্ঘর্ষিক না সেটা মানলে গুনাহ হবে ? আর না মানলে কি গুনাহ হবে ?

৪. কেউ মদ খাওয়া হারাম মনে করে । কিন্তু মাঝে মাঝে ব্যবসায়িক স্বার্থে বিদ্যমান মানব রচিত আইন অনুযায়ী মদ খাওয়ার অনুমতি নিলে এতে কি তাগুত কে অস্বীকার করা ঠিক থাকবে ? ঈমান ঠিক থাকবে?

৫. ইসলামে মজবুরী বলতে কি বুঝায় ? কোন মজবুরীতে শিরক ও কুফরী করা জায়েজ আছে এবং অন্যায় প্রতিবাদ না করা জায়েজ আছে ?এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের মজবুরী গ্রহণযোগ্য ?

৬.শিরক ও কুফরী ছাড়া অন্যান্য কবীরা গুনাহ ক্ষেএে মজবুরীর শর্ত কি ?

৭. সূরা বাকারার শেষ আয়াতে কেমন সামর্থ্য না থাকার কথা বোঝানো হয়েছে ?

৮.মানব রচিত আইন কোরআন হাদিসের সাথে সা‌ঙ্ঘর্ষিক না এমন আইন তৈরি করা কি জায়েজ আছে ?

৯. একজন লোক দারুল কুফর এর কোন দেশ দখল করল এবং সে দেশে কোরআনের আইন জারি করল কিন্তু নিজেকে ঐ দেশের রাজা দাবি করল এতে ঐ দেশটি এখন কি দারুল ইসলাম এ পরিণত হলো ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তাগুতের অনুসরন করা শির্ক ও কুফুরীঃ
তাগুত শব্দ এসেছে “তাগা” যার অর্থ “সীমা লংঘন করা”, আল্লাহ ছাড়া যা কিছুর উপাসনা করা হয় এবং যে এতে রাজি-খুশি থাকে, তাকে তাগুত বলা হয়।
তাগুত এর সংজ্ঞাঃ
১. আল্লাহ ছাড়া যে ব্যক্তির ইবাদত করা হয় আর সে তার ইবাদতে সন্তুষ্ট থাকে, তাকে তাগুত বলা হয়।
২. প্রত্যেক অনুসৃত অথবা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য বাদ দিয়ে যাদের আনুগত্য করা হয় তাদেরকেও তাগুত বলা হয়। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ
“আমি প্রত্যেক উম্মাত (জাতির) কাছেই রাসুল পাঠিয়েছি, যেন তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুত থেকে বেচে থাকে।
সুরা আন-নাহলঃ ৩৬।

তাগুত কত প্রকার?
তাগুত অনেক প্রকারের আছে তার থেকে প্রধান ৫ প্রকার উল্লেখ করা হলো..........বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-8786


তাগুতের আকিদা বিশ্বাসকে অস্বীকার করবেন। তাদের মূলনীতিকে গ্রহণ করবেন না। তাদের মূলনীতি এবং আকিদা বিশ্বাসকে অস্বীকার করার দ্বারাই তাগুতের অস্বীকার হয়ে যাবে,ইনশা'আল্লাহ।

(২)
কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো প্রকার আইন করার অধিকার কারো নাই।যদি কেউ করে,তাহলে সেই আইনকে অস্বীকার করা ওয়াজিব।প্রয়োজনে সেই আইন থেকে বাচতে ঘুষ দেওয়াও বৈধ হবে।

(৩)
কোন মানব রচিত আইন কোরআন হাদিসের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক না, সেটা মানা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান।  তবে না মানলে গুনাহ হবে না।হ্যা, অমান্য করার জন্য অবশ্যই সে রাস্ট্রীয়ভাবে শাস্তিরযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।


(৪)
মদ হারাম জানার পরও মদ খাওয়ার অনুমতি বা মদের বিজনেস করার অনুমতি নিলে তাগুতকে স্বীকার করা হবে না,বরং তাগুতকে অস্বীকার করা বহাল থাকবে।


(৫)
মজবুরি যদি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, নিজের জানের উপর অাশংকা চলে আসে, তাহলে এমতাবস্থায় এটাকে মজবুরি বলে, এবং এর জন্য কুফরি বাক্যাবলি উচ্ছারণ করারও অনুমোদন রয়েছে।

(৬)
শিরক এবং কুফরি ব্যতিত অন্যান্য ক্ষেত্রে মজবুরির ব্যখ্যা হল, যদি এমন প্রয়োজন হয়, যা না হলে নয়, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত পরিস্থিতিতে মজবুরি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

(৭)
শতচেষ্টার পরও নিজের সামর্থ্য না থাকাকেই এখানে বুঝানো হয়েছে।

(৮)
মানব রচিত আইন কোরআন হাদিসের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক না, এমন আইন তৈরি করা না জায়েজ নয়।

(৯)
কোনো দেশ দারুল ইসলাম হওয়ার জন্য কুরআনি আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হওয়াই যথেষ্ট।সুতরাং রাজ দাবী করলেও সেই দেশ দারুল ইসলাম থেকে বের হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
 উত্তর দিলে ভালো হতো
by (589,140 points)
  সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 214 views
...