ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তাগুতের অনুসরন করা শির্ক ও কুফুরীঃ
তাগুত শব্দ এসেছে “তাগা” যার অর্থ “সীমা লংঘন করা”, আল্লাহ ছাড়া যা কিছুর উপাসনা করা হয় এবং যে এতে রাজি-খুশি থাকে, তাকে তাগুত বলা হয়।
তাগুত এর সংজ্ঞাঃ
১. আল্লাহ ছাড়া যে ব্যক্তির ইবাদত করা হয় আর সে তার ইবাদতে সন্তুষ্ট থাকে, তাকে তাগুত বলা হয়।
২. প্রত্যেক অনুসৃত অথবা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য বাদ দিয়ে যাদের আনুগত্য করা হয় তাদেরকেও তাগুত বলা হয়। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ
“আমি প্রত্যেক উম্মাত (জাতির) কাছেই রাসুল পাঠিয়েছি, যেন তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুত থেকে বেচে থাকে।
সুরা আন-নাহলঃ ৩৬।
তাগুত কত প্রকার?
তাগুত অনেক প্রকারের আছে তার থেকে প্রধান ৫ প্রকার উল্লেখ করা হলো..........বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-8786
তাগুতের আকিদা বিশ্বাসকে অস্বীকার করবেন। তাদের মূলনীতিকে গ্রহণ করবেন না। তাদের মূলনীতি এবং আকিদা বিশ্বাসকে অস্বীকার করার দ্বারাই তাগুতের অস্বীকার হয়ে যাবে,ইনশা'আল্লাহ।
(২)
কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো প্রকার আইন করার অধিকার কারো নাই।যদি কেউ করে,তাহলে সেই আইনকে অস্বীকার করা ওয়াজিব।প্রয়োজনে সেই আইন থেকে বাচতে ঘুষ দেওয়াও বৈধ হবে।
(৩)
কোন মানব রচিত আইন কোরআন হাদিসের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক না, সেটা মানা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান। তবে না মানলে গুনাহ হবে না।হ্যা, অমান্য করার জন্য অবশ্যই সে রাস্ট্রীয়ভাবে শাস্তিরযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
(৪)
মদ হারাম জানার পরও মদ খাওয়ার অনুমতি বা মদের বিজনেস করার অনুমতি নিলে তাগুতকে স্বীকার করা হবে না,বরং তাগুতকে অস্বীকার করা বহাল থাকবে।
(৫)
মজবুরি যদি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, নিজের জানের উপর অাশংকা চলে আসে, তাহলে এমতাবস্থায় এটাকে মজবুরি বলে, এবং এর জন্য কুফরি বাক্যাবলি উচ্ছারণ করারও অনুমোদন রয়েছে।
(৬)
শিরক এবং কুফরি ব্যতিত অন্যান্য ক্ষেত্রে মজবুরির ব্যখ্যা হল, যদি এমন প্রয়োজন হয়, যা না হলে নয়, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত পরিস্থিতিতে মজবুরি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
(৭)
শতচেষ্টার পরও নিজের সামর্থ্য না থাকাকেই এখানে বুঝানো হয়েছে।
(৮)
মানব রচিত আইন কোরআন হাদিসের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক না, এমন আইন তৈরি করা না জায়েজ নয়।
(৯)
কোনো দেশ দারুল ইসলাম হওয়ার জন্য কুরআনি আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হওয়াই যথেষ্ট।সুতরাং রাজ দাবী করলেও সেই দেশ দারুল ইসলাম থেকে বের হবে না।