ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শিয়া দু-ধরণের হতে পারে।
(ক.)যারা শুধুমাত্র আলী রাঃ কে প্রথম খলিফার মর্যাদা দান করে,তবে আবু বকর উমরকে গালাগালী করেনা।এবং আসলে সুন্নাত ওয়াল জামাতকে অস্বিকার ও করেনা।এছাড়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে তাদের আর কোনো এখতেলাফ নেই।তাদেরকে এ আ'কিদা-বিশ্বাসের কারণে যদিও কাফির বলা যাবে না তবে নিঃসন্দেহে তারা পথভ্রষ্ট ও গোমরাহ।
(খ.)
যারা হযরত আবু বকর, উমর রাঃকে খেলাফতের অযোগ্য ও খেলাফত ছিনতাইকারী মনে করে।এবং আবু-বকর উমরসহ সমস্ত সাহাবায়ে কেরামকে ফাসিক মনে করে ও গালাগালী করে এবং কোরআনকে অশুদ্ধও মনে করে।এসমস্ত আকিদা-বিশ্বাসের অনুসারীগণ নিঃসন্দেহে কাফিরও যিন্দিক।
আজকাল শীয়া গণ "ক" শাখার অন্তর্ভূক্ত খুবই কম বরং অধিকাংশই "খ" শাখার অন্তর্ভুক্ত।
তাদের প্রধান টার্গেট সুন্নী মুসলমানদেরকে বিতারিত করে মক্ষা-মদিনাকে দখল করা ও শীয়া রাজত্ব কায়েম করা।
তাদের আরও কিছু আক্বিদা-বিশ্বাস হল।
(১)কোরআনে অনেক অনেক ভূল রয়েছে।
(২)কোরআন সর্বমোট ৪০পারা।
(৩)তাক্বিয়্যাহ অর্থ্যাৎ মিথ্যা বলা কামেল ঈমানের পরিচয়।
(৪)মু'তা,টাকার বিনিময়ে শারিরিক সম্পর্ক করা কামেল ঈমানের পরিচয়।
(৫)মু'তা পরিবর্তি গোসলের পর যেত ফুটা পানি শরীর থেকে ঝড়বে তথটা মকবুল হজ্বের সওয়াব হবে।
(৬)আলী রাঃ আবার পৃথিবীতে আসবেন,এবং সারা পৃথিবীতে শীয়া রাজত্ব কায়েম করবেন।
তাদের আরও অনেক আক্বিদা-বিশ্বাস রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে আহসানুল ফাতাওয়া ১/৭৫।
উক্ত দ্বিতীয় প্রকার শিয়াদের আরোও মারাত্বক পর্যায়ের কিছু আকিদা হল, যেমন-
(১)বর্তমানে আমাদের সামনে যে কুরআনে কারীম রয়েছে,সেটা বিকৃত।
(২)হযরত আবু বকর উমর কাফির।
(৩) হযরত আযেশা রাযি এর ইফকের ঘটনা বাস্তব সম্মত।
এমন সব আকিদা গ্রহণ কারী অবশ্যই কাফির।
এতে সাথে কোনো রকম সম্পর্ক রক্ষা করা যাবে না।
তবে কিছু লোকের আকিদা আমাদের মতই। তবে তারা হযরত আলী রাযি সম্পর্কে বেশী মহব্বতের ইজহার করে থাকে,এমন আকিদা লোকজন কে কাফির বলা যাবে না।বরং তারা আমাদেরই মতই।তাদের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে।
বর্তমান সময়ের যে শিয়ারা ইরানে আছেন,তাদের সম্পর্কে বলা যায় যে, ইরানের ধর্মীয় নেতা রুহুল্লাহ খোমেনি "ইসনা আশারিয়া" সম্প্রদায়ের।
এদেরকে এক সময় শিয়াদের একটি সম্প্রদায় "যায়দিয়া" (ইয়েমেনি হুথি) রা কাফের বলে আখ্যায়িত করেছিল। ।
ইরানের সুপ্রিম লিডার ইমাম আয়াতুল্লাহ রূহুল্লাহ খোমিনী লিখিত কিছু গ্রন্থ থেকে আমরা তাদের আকিদা জানার চেষ্টা করব-
১) সৃষ্টি জগতের প্রতিটি কণার উপর ইমামগণের আধিপত্য রয়েছে । [আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২]
২) ইমাম গণের মর্যাদা নৈকট্যশীল ফেরেশতা,নবী, ও রাসূলগণেরও উর্ধে ![আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২]
৩) ইমামগণের শিক্ষা কূরআনের বিধানাবলী ও শিক্ষার মতই চিরস্থায়ী এবং অবশ্য পালনীয়। [আল হুকূমাতূল ইসলামীয়া পৃঃ ১১৩]
৪) আবু বকর ও উমর দিল থেকে ঈমান আনেনি বরং শুধু নেতৃত্বের লোভে বাহ্যিক ভাবে ইসলাম কবুল করেছিল এবং রাসূলে খোদা (সাঃ) এরর সাথে নিজেদেরকে লাগিয়ে রেখেছিল। [কাশফুল আসরার]
৫) আমাদের ইমামগণ এ জগৎ সৃষ্টির পূর্বে নূর ও তাজ্জালীর আকৃতিতে ছিলেন,যা আল্লাহ'র আরশকে বেষ্টন করে রেখেছিল,তাদের মর্যাদা ও নৈকট্যপ্রাপ্তির কথা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ জানেনা। [আল বিলায়াতুত তাকবীনিয়্যাহ শিরোনামে 'আল হুকূমাতুল ইসলামীয়াহ' গ্রন্থে:পৃঃ৫২]
৬) আমাদের ইমামগণ ভূল ও গাফলত হতে মুক্ত-পবিত্র। [আল হিকমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ৯১]