আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,260 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

১/যে মাছ মরে পুকুরে ভেসে উঠে সে মাছ খাওয়া হালাল কিনা? মরে যাওয়ার কারণ যদি জানা না যায়।  যদি সরিষা দিয়ে বেটে রান্না করা হয় তবে তা খেতে খারাপ লাগে না।
২/ ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতর থেকে আনা অনেক জিনিস বাইরে বিক্রি করে। মুরগি,মুরগির পা, কলিজা,রেশনের চাল আটা,দুধ ইত্যাদি। আজকে আব্বু মাংস কিনে নিয়েছেন তাও কেউ বিক্রি করেছে এনে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যা আর্মিদের জন্য বরাদ্ধ তা বিক্রি করছে কি করে। রেশনের চাল নাহয় ভাবলাম যে হয়তো ওই চাল বিক্রি করে তারা অন্য ভালো চালটা নিয়ে যায়৷ কিন্তু মাংস ইত্যাদি কিভাবে বিক্রি করে! সবজিও করে যারা ওখানে কাজ করে।
আজকে আব্বু একবাটি খাসির মাংস রান্না কিনে এনেছে। ওখানকার কেউ বিক্রি করেছে।

এটা সন্দেহজনক মনে হয় যে সবজি আর মাংস কর্মচারীরা কিভাবে আনছে! আর্মিরা গিলা কলিজা খায়না বলে বিক্রি করা কি জায়েজ হবে? আর তা আমিরা কিনে খেলে জায়েজ হবে?

এগুলা কি হালাল হবে কিনে খেলে?আমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত। কিন্তু এখনো দুধ থেকে শুরু করে চাল অব্দি বেশিরভাগ ওখানকার জিনিস কিনে নেন। যদি অসৎ উপায় হয়,  বাসায় তো আনেই। আমি বললে কেউ মানবেনা। করনীয় কি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4763 নং ফাতাওয়া আমরা বলেছি যে,
মাছ হালাল হওয়ার জন্য জবেহ করা শর্ত নয়।আর যে জিনিষ হালাল হওয়ার জন্য জবেহ করা শর্ত নয়, তাতে বিসমিল্লাহ বলাও শর্ত নয়।

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻬﻤﺎ - ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻗﺎﻝ : ( ( ﺃﺣﻠﺖ ﻟﻨﺎ ﻣﻴﺘﺘﺎﻥ ﻭﺩﻣﺎﻥ، ﺍﻟﺤﻮﺕ ﻭﺍﻟﺠﺮﺍﺩ ﻭﺍﻟﻜﺒﺪ ﻭﺍﻟﻄﺤﺎﻝ ) )
আমাদের জন্য দু'টি মৃত ও দু'টি রক্তকে হালাল করা হয়েছে,মৃত দু'টি হল,মাছ এবং টিড্ডি।আর রক্ত দু'টি হল,কলিজা এবং তিল্লি।
ইবনে মাজা-৩৩১৪
মসনদে আহমদ-৫৭২৩।

উক্ত হাদিসে মৃত মাছকে হালাল বলা হচ্ছে, তাই মাছ হালাল হওয়ার জন্য বিসমিল্লাহর সাথে জবেহ করা শর্ত নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যে মাছ নিজ থেকে মরে পানিতে ভেসে উঠে এবং পঁচে বা গলে যায়,সেই মাছ খাওয়া জায়েয নয়।নতুবা জায়েয।

(২)
এগুলো যদি রাস্তায় বিক্রি হয়, এবং হঠাৎ কেউ ক্রয় করে নেয়,তাহলে তা নাজায়েয হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত তাদের কারো সাথে সম্পর্ক করে যদি ক্রয় করা হয়,তাহলে অবৈধ কাজে সহযোগিতার দায়ে সেগুলোর ক্রয়-বিক্রয় কখনো জায়েয হবে না। কেননা সংশ্লিষ্ট লোকগন সাধারণত অন্যায়ভাবে লুকিয়ে ও চুরি করে এগুলোকে বিক্রয় করে থাকে। হ্যা, আর্মির কর্তৃপক্ষ যদি এগুলোর ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে,তাহলে সেগুলোর ক্রয়-বিক্রয় জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...