بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ثُمَّ تَوَلَّیۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ۚ فَلَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ
عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ لَکُنۡتُمۡ مِّنَالۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۶۴﴾
অতঃপর তোমরা এ সবের পর বিমুখ হয়ে ফিরে গেলে। আর যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ
ও অনুকম্পা না হত, তোমরা অবশ্যই
ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হতে।(সুরা বাকারাহ-৬৪)
উক্ত আয়াতে রহমত শব্দটি অনুকম্পা, দয়া, আশীর্বাদ, অনুগ্রহ,
ভালোবাসা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহ্রত হয়। এটি একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ।সুতরাং
আরবিতে রহমত (দয়া) এবং এ থেকেই রহীম (পরম দয়ালু )।
আল্লাহ কৃতজ্ঞ বান্দাদের নেয়ামত স্থায়ী, বৃদ্ধি ও বরকতময় করার ওয়াদা করেছেন। তিনি বলেন,
لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ ۖ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي
لَشَدِيدٌ
‘যদি তোমরা শোকর আদায় করো-
আমি তোমাদের আরও বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে আমার শাস্তি অতি কঠোর। ’ -সূরা
ইবরাহিম: ৭
শোকরগুজার বান্দারা দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভে ধন্য হবে। আল্লাহ বলেন,
وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ
‘আল্লাহ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারীদের
অচিরেই প্রতিদান দেবেন। ’ -সূরা আলে ইমরান: ১৪৪
আল্লাহর শোকরকারী বান্দা দুনিয়া ও আখেরাতের শাস্তি ও অমঙ্গল থেকে রক্ষা পায়। কৃতজ্ঞতা
নবী-রাসূল ও আল্লাহর মোমিন বান্দাদের আমল। ইসলামের শিক্ষা হলো- সব সময় কৃতজ্ঞতা স্বীকার
ও সঠিক পথে অবিচল থাকা।
কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা তার সাধারণ ও বিশেষ নেয়ামতগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে
বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ ۚ هَلْ مِنْ
خَالِقٍ غَيْرُ اللَّهِ يَرْزُقُكُم مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ ۚ لَا إِلَـٰهَ
إِلَّا هُوَ ۖ فَأَنَّىٰ تُؤْفَكُونَ
‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের
প্রতি আল্লাহর নেয়ামতকে স্মরণ করো। আল্লাহ ছাড়া কোনো স্রষ্টা আছে? তিনি তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।’
(-সূরা ফাতির: ৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১.রহমত ও দয়া একই বিষয়। এবং রহীম (পরম দয়ালু) আল্লাহর একটি(গুনবাচক) সিফাতী নাম।
২.আল্লাহ যা কিছু আমাদের কল্যাণার্থে সৃষ্টি করেছেন, সবই আমাদের জন্য তার দেওয়া
নেয়ামত যা আমরা বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসের আলোকে জেনে থাকি। এবং আল্লাহ তায়ালা যে আমাদের
কে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন,সুস্থ রেখেছেন, রিজিক সমৃদ্ধ করে দিয়েছেন, সমস্থ প্রয়োজন পূরণ করছেন ইত্যাদী এসবই আমাদের হায়াতে
তিনি বরকত দিয়েছেন বলেই আমরা তা ভোগ করছি। অন্যথায় আল্লাহর নেয়ামত ও তার দেওয়া বরকত
ছাড়া আমরা এক মহূর্তও চলতে পারবো না।