জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছে-
يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ
আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
(০১)
আপনি নাপাক হাত দ্বারা সরাসরি ট্যাপ স্পর্শ করে পরে ট্যাপ আর না ধুয়ে ঐ পাক হাত দিয়ে বন্ধ করে চলে আসেন।
এমতাবস্থায় আপনার হাত নাপাক ছিলো,তাই এই সময়ে আপনি যাহা কিছু স্পর্শ করেছেন,সবই নাপাক।
গামছা স্পর্শ করার পর তো আপনার হাতে পানি আর অবশিষ্ট থাকেনি,তাই এর পর থেকে আর কোনো বস্তু নাপাক হয়নি।
ইহা ছাড়াও গামছা স্পর্শ করার আগেই আপনার হাত শুকিয়ে গিয়ে থাকলে সেই শুকনো থাকার সময় থেকে নিয়ে পরবর্তীতে আর কোনো কিছুই নাপাক হবেনা।
,
পরবর্তীতে আপনি যখন সেই ট্যাপ ধুয়ে নিয়েছেন,এর পর তো কোনো সমস্যা হবেনা।
কেননা সেই সময়ে ট্যাপ ধোয়ার সাথে হাত পবিত্র হয়ে গিয়েছে।
,
★সুতরাং এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো উক্ত নাপাক ট্যাপ না ধুয়ে বন্ধ করার পর ট্যাও ধোয়ার আগ পর্যন্ত আপনার হাত গামছার মাধ্যমে শুকনো হোক,বা তার আগেই কোনকভাবেই শুকিয়ে যাক,সব ছুরতেই শুকিয়ে যাওয়ার পর আর সেটির দ্বারা স্পর্শকৃত জায়গা গুলি নাপাক হবেনা।
আর নাপাক সেই হাত ভেজা থাকা অবস্থায় সেই হাত দিয়ে যাহা কিছু স্পর্শ করা হয়েছিলো,সব কিছুই নাপাক বলে গন্য হবে।
,
★এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় রয়েছে।
সেটি হলো একেবারে প্রথমে আপনি যখন নাপাক হাত দিয়ে ট্যাপ স্পর্শ করেছিলেন,সেই সময়ে আপনার হাত বা সেই ট্যাপ ভেজা ছিলো কিনা?
যদি উভয়টিই শুকনো থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে উপরোক্ত কোনো সমস্যাই থাকবনা।
কেননা এক্ষেত্রে সেই ট্যাপ নাপাকই হয়নি,তাই তাহা ধোয়ারও প্রয়োজনীয়তা ছিলোনা।
,
(০২)
হ্যাঁ উক্ত ফতোয়া মোতাবেক শরীর আর শুধু ওই কাপড়টি ধৌত করলেই হবে।