আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, উস্তাদ।

আমি একজন প্রাইভেট শিক্ষক। আমি প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রকে পড়া দিয়ে সেই অবসর টাইমে কুরআন তিলাওয়াত করতে পছন্দ করি, এছাড়াও বাসে ভ্রমণ এবং মসজিদে বসে নামায আদায় শেষে বাড়তি সময়ে আমার তিলওয়াত করতে খুবই ভালো লাগে(খতমের উদ্দেশ্যে নিয়মিত তিলওয়াত করা হয়)। আমার ক্লাস ফাইভের দুইজন ছাত্রের একজন ছাত্র আছে, সে হিন্দু।

প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি তার(হিন্দু বা যেকোনো অমুসলিমদের ক্ষেত্রে) বাসায় পড়াতে যেয়ে (ওযু অবস্থায়) আমার মোবাইলে থাকা কুরআন শরীফের অ্যাপ দেখে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ্ তাআলা বলেন:

وَإِنْ أَحَدٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ اسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّىٰ يَسْمَعَ كَلَامَ اللَّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْلَمُونَ

আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহ্র বাণী শুনতে পায়। তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দিন। কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা জানে না।”[সূরা তওবা, আয়াত: ৬]

শাওকানী (রহঃ) বলেন:

অর্থাৎ যে মুশরিকদের বিরুদ্ধে আপনি যুদ্ধ করার আদিষ্ট হয়েছেন তাদের কেউ যদি আপনার আশ্রয় চায় তাহলে তাকে আশ্রয় দিন। অর্থাৎ আপনি তাকে আশ্রয় দিন, নিরাপত্তা দিন, রক্ষাকারী হোন; যাতে করে সে আপনার কাছ থেকে আল্লাহ্র কালাম শুনতে পায় এবং যথাযথভাবে সেটাকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে এবং আপনি যে দাওয়াত দিচ্ছেন সে দাওয়াতের হাকীকত জানতে পারে। এরপর আপনি তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দিন অর্থাৎ যদি সে ইসলাম গ্রহণ না করে তাহলে আল্লাহ্র কালাম শুনার পর যে স্থানকে সে নিরাপদ মনে করে সেখানে পৌঁছিয়ে দিন।[ফাতহুল কাদির (২/৪৯১)]

কুরআন তেলাওয়াতের অনেক উপকার ও ফজিলত রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

১. অন্তরের ময়লা ও অপবিত্রতা দূর হয়।

২. আল্লাহ তায়ালার মহব্বত বাড়ে।

৩. প্রতিটি হরফে ১০টি করে নেকি বা সাওয়াব পাওয়া যায়। না বুঝে পড়লেও এই নেকি পাওয়া যায়। যারা মনে করে, না বুঝে পড়লে কোনো লাভ নেই, তাদের কথা সঠিক নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

সর্বদা কুরআন তেলাওয়াতের প্রতি গুরুত্বআরোপ করা উচিৎ। যখনি অবসর সময় পাওয়া যাবে, তখনি আদবের সাথে আল্লাহর প্রতি মুহাব্বত নিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করার মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে। অমুসলিমের বাসাতেও কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয আছে। বিশেষ করে তাদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে আমরা তাদেরকে কুরআন তেলাওয়াত শুনাতে পারি। কেননা কুরআন তেলাওয়াত অমুসলিমদের মাঝে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে । যদি আপনার মেহনতে কেউ ইসলাম কবুল করে, তা হবে আপনার জন্য নাজাতের উসিলা ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...