بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ্ তাআলা বলেন:
وَإِنْ أَحَدٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ اسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّىٰ
يَسْمَعَ كَلَامَ اللَّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ
قَوْمٌ لَّا يَعْلَمُونَ
“আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার কাছে
আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহ্র
বাণী শুনতে পায়। তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দিন। কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায়
যারা জানে না।”[সূরা তওবা, আয়াত: ৬]
শাওকানী (রহঃ) বলেন:
অর্থাৎ যে মুশরিকদের বিরুদ্ধে আপনি যুদ্ধ
করার আদিষ্ট হয়েছেন তাদের কেউ যদি আপনার আশ্রয় চায় তাহলে তাকে আশ্রয় দিন। অর্থাৎ আপনি
তাকে আশ্রয় দিন, নিরাপত্তা দিন, রক্ষাকারী হোন; যাতে করে সে আপনার কাছ থেকে আল্লাহ্র
কালাম শুনতে পায় এবং যথাযথভাবে সেটাকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে এবং আপনি যে দাওয়াত
দিচ্ছেন সে দাওয়াতের হাকীকত জানতে পারে। এরপর আপনি তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দিন
অর্থাৎ যদি সে ইসলাম গ্রহণ না করে তাহলে আল্লাহ্র কালাম শুনার পর যে স্থানকে সে নিরাপদ
মনে করে সেখানে পৌঁছিয়ে দিন।[ফাতহুল কাদির (২/৪৯১)]
কুরআন তেলাওয়াতের অনেক উপকার ও ফজিলত
রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. অন্তরের ময়লা ও অপবিত্রতা দূর হয়।
২. আল্লাহ তায়ালার মহব্বত বাড়ে।
৩. প্রতিটি হরফে ১০টি করে নেকি বা সাওয়াব
পাওয়া যায়। না বুঝে পড়লেও এই নেকি পাওয়া যায়। যারা মনে করে, না বুঝে পড়লে কোনো লাভ নেই, তাদের কথা সঠিক নয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
সর্বদা কুরআন তেলাওয়াতের প্রতি গুরুত্বআরোপ
করা উচিৎ। যখনি অবসর সময় পাওয়া যাবে, তখনি
আদবের সাথে আল্লাহর প্রতি মুহাব্বত নিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করার মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে।
অমুসলিমের বাসাতেও কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয আছে। বিশেষ করে তাদেরকে ইসলামের প্রতি
দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে আমরা তাদেরকে কুরআন তেলাওয়াত শুনাতে পারি। কেননা কুরআন
তেলাওয়াত অমুসলিমদের মাঝে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে । যদি আপনার মেহনতে কেউ ইসলাম কবুল করে,
তা হবে আপনার জন্য নাজাতের উসিলা ইনশাআল্লাহ।