আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
242 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আমার বিয়ে হয় ১৪.০৪.১৮ তে। পরে আমার মেয়ে সন্তান হয় ১৬.০৭.১৯ এ আলহামদুলিল্লাহ।

বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সংসারে নানারকমভাবে আমাকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।বাচ্চা হওয়ার পর তা আরো বেড়ে যায়।আর আমার বাবার বাড়ির কেউ তাদের বাড়িতে গেলেই অপমান করত অশ্লীল কথার দ্বারা।আর আমাকেও বাবার বাড়ি আসতে দিত না,কোন যোগাযোগও করতে দিত না।পরে একসময় আমার বাবার বাড়ির লোক গিয়ে আমাকে সন্তানসহ নিয়ে আসেন ২০.১০.১৯ এ।তখন থেকে এখন অবধি আমি, আমার সন্তানসহ বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছি আলহামদুলিল্লাহ।

পরে ১.০৭.২০২০ তারিখে পোস্টঅফিসের মাধ্যমে ডিভোর্সের কাগজ পাঠিয়ে বলা হয় যে, আমাকে তিন তালাক দেয়া হয়েছে এবং আমি তার স্ত্রী নয় আর সে আমার স্বামী নয় এমনটা।

এরপর পৌরসভায় বিভিন্ন বৈঠক হয় এই নিয়ে কিন্তু কোন আপুষ,সমঝোতা হয় না।উক্ত তারিখের পর থেকে ৩ মাস অতিক্রম হওয়ার পর পৌরসভা থেকে নোটিশ দেয় যে, কোন সমঝোতা না হওয়ায় ৩ মাসের মধ্যে তালাক কার্যকর হয়ে গেছে।

এই নোটিশের পর আর কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় নাই।

তো এখন মাঝেমধ্যে কিছু মানুষ বলে যে,এখনও আমাকে ফিরে যেতে বলে, সংসারের কথা বলে, বাচ্চার কথা বলে ইত্যাদি নানা কথা।কিন্তু আমি তাদের বলি যে এখন তালাক কার্যকর হওয়ার পর আর কোন সুযোগ নাই যাওয়ার,গেলে সংসার করলে তা হারাম হবে।আর যদি তালাকের পর কারো যেতেই হয় তাহলে তাকে আরেক বিয়ে করে সে স্বামী যদি স্বেচ্ছায় তাকে তালাক দেয় বা সে স্বামী মারা যায় তাহলে সে তার আগের স্বামীকে পুনরায় বিয়ে করে সংসার করতে পারবে।

আমি এইটুকুই জানি আমার স্বল্প জ্ঞানে। আমার ভুলও হতে পারে।

তাই দয়া করে আমাকে জানান যে,আমার কি তালাক হয়ে গেছে কিনা!
লেখাটা বড় হয়ে গিয়েছে তার জন্য দুঃখিত।আর ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

জাযাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবেতার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমাযারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। (সূরা বাকারাআয়াত ২৩০)

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যেএক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দিলে সে (স্ত্রী) অন্যত্র বিয়ে করল। পরে দ্বিতীয় স্বামীও তাকে ত্বলাক্ব দিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করা হল মহিলাটি কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবেতিনি বললেনঃ নাযতক্ষন না সে (দ্বিতীয় স্বামী) তার স্বাদ গ্রহণ করবেযেমন স্বাদ গ্রহণ করেছিল প্রথম স্বামী। সহীহ বুখারীহাদীস নং- ৫২৬১

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি সত্যিই আপনার স্বামী আপনাকে তিন তালাক দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপর তিন তালাক পতিত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই এখন আপনি তার জন্য হালাল নন।

তবে যদি আপনার অন্য কোথাও বিয়ে হয় এবং তার সাথে সহবাস করার পর আপনাকে তালাক দিলে অথবা বিবাহের সময় স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার নিয়ে রেখে সহবাসের পর নিজের উপর তালাক গ্রহণ করলে ইদ্দত পূরণের পর তথা তিন ঋতুস্রাব অতিবাহিত হওয়ার পর নতুন করে মহর ধার্য করে প্রস্তাব ও গ্রহণের মাধ্যমে দুজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে আবার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন।

২.ডিভোর্স নামায় কোন শব্দ দ্বারা তালাক দেওয়া হয়ে ছিলো ইত্যাদি বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিয়ের কাবিননামাডিভোর্স নামা নিয়ে নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...