বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■আল্লাহ
তায়ালা বলেন-
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا
تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا
فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ
اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি
সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী
তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের
উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায়
রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা
হয়। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৩০)
■হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ
رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ
عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.
আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে, এক ব্যক্তি
তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দিলে সে (স্ত্রী) অন্যত্র বিয়ে করল। পরে দ্বিতীয়
স্বামীও তাকে ত্বলাক্ব দিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস
করা হল মহিলাটি কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে? তিনি বললেনঃ না, যতক্ষন না
সে (দ্বিতীয় স্বামী) তার স্বাদ গ্রহণ করবে, যেমন স্বাদ গ্রহণ করেছিল প্রথম স্বামী। সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৫২৬১
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি সত্যিই আপনার স্বামী আপনাকে তিন তালাক দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপর
তিন তালাক পতিত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই এখন আপনি
তার জন্য হালাল নন।
তবে যদি
আপনার অন্য কোথাও বিয়ে হয় এবং তার সাথে সহবাস করার পর আপনাকে তালাক দিলে অথবা
বিবাহের সময় স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার নিয়ে রেখে সহবাসের পর নিজের উপর তালাক
গ্রহণ করলে ইদ্দত পূরণের পর তথা তিন ঋতুস্রাব অতিবাহিত হওয়ার পর নতুন করে মহর
ধার্য করে প্রস্তাব ও গ্রহণের মাধ্যমে দুজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে আবার প্রথম
স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন।
২.ডিভোর্স নামায়
কোন শব্দ দ্বারা তালাক দেওয়া হয়ে ছিলো ইত্যাদি বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত
উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিয়ের কাবিননামা, ডিভোর্স নামা
নিয়ে নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা
হলো।