ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ নামাজ পড়া ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ
الرَّاكِعِينَ
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের
সাথে, যারা অবনত হয়। ( সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩)
■ অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায
পড়ুন এবং কোরবানী করুন। (সূরা কাউসার, আয়াত ২)
যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নামাজ ত্যাগ করে তার
থেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়।
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله
عليه وسلم ـ أَنْ " وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ
تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ
الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ "
.
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায
ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি
উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে
ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)
★রমজানের রোজা
রাাখা ফরয।
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ
كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা
হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী
লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।
(সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজ, রোজা ছেড়ে দিয়ে পড়া-লেখা করা জায়েজ হবে না। নামাজ পড়া ও
রোজা রাখা ফরজ। তাই আপনাকে ফরজ বিধান পালন করতেই হবে।