জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে আগে হাত ধোয়ার কথা এসেছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ وَأَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَلَا يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ " . - صحيح
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ রাত্রে জাগ্রত হলে সে যেন নিজের হাত তিনবার না ধুয়ে (পানির) পাত্রে হাত ডুবিয়ে না দেয়। কারণ তার জানা নেই (ঘুমের অবস্থায়) তার হাত কোথায় রাত কাটিয়েছে।
মুসলিম (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, ৩/১৮১ নাবাবী), আহমাদ (২/২৫৩, ৪৭১) আবু দাউদ ১০৩)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রথমে হাত দিয়ে ট্যাপ স্পর্শ করার সময় হাত বা ট্যাপের উক্ত স্থান ভেজা ছিলো কিনা?
যদি ভেজা থাকে,তাহলে ট্যাপ নাপাক হয়ে গিয়েছে।
এমতাবস্থায় দরজা,লাইটের সুইচও নাপাক হয়ে গিয়েছে।
সেগুলো এখন পবিত্র কাপড় দ্বারা মুছে নিতে হবে।
নতুবা পাক হবেনা।
,
(০২)
এক্ষেত্রে সরাসরি নাপাক কাপড় ইত্যাদি ধোয়ার সময়ের ছিটা আসা পানি নাপাক হবে।
তবে নাপাকি কাপড় ধোয়ার পর পানি ছিটে আসলে বিধানঃ
বেসিনে যখন পানির ট্যাপ অন রাখা হবে,তখন সাধারণত নাপাকি ধৌত করার পরও আরো কিছু সময় ট্যাপ চালু থাকে,যেহেতু ধৌত করার পরও কিছু সময় ট্যাপ চালু থাকে,তাই সর্বশেষ পানি দ্বারা বেসিন পাক-পবিত্র হয়ে যায়।সুতরাং পরবর্তীতে উক্তর বেসিনে পানির পড়লে,সেই পানির ছিটা কাপড় বা শরীরে লাগলে উক্ত কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।