জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হল যখন কোনো পুরুষ মহিলা আলাদা ভাবে কোনো নামাজ পড়ে,বা একজন নামাজ পড়ে অন্যজন কোনো অন্য কাজ করে,তাহলে নামাজের কোনো সমস্যাই হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ وَأَنَا رَاقِدَةٌ مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ عَلَى فِرَاشِهِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ أَيْقَظَنِي فَأَوْتَرْتُ .
উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করতেন, তখন আমি তার ও কিবলার মধ্যস্থলে নিদ্রিত অবস্থায় তার বিছানায় শুয়ে থাকতাম। যখন তিনি বিতরের সালাত আদায় করতে ইচ্ছা করতেন, তখন আমাকে জাগিয়ে দিতেন এবং আমি বিতরের সালাত আদায় করতাম।
সহিহ, আবু দাউদ হাঃ ৭০৫, বুখারি হাঃ ৫১২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১০৩২
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَرِجْلَايَ فِي قِبْلَتِه فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا قَالَتْ وَالْبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে ঘুমাতাম। আর আমার দু’ পা থাকতো তাঁর ক্বিবলার দিকে। তিনি যখন সাজদাহ্ (সিজদা/সেজদা) দিতেন আমাকে টোকা দিতেন। আমি আমার পা দু’টি গুটিয়ে নিতাম। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি আমার দু’ পা লম্বা করে দিতাম। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, সে সময় ঘরে আলো থাকতো না।
সহীহ : বুখারী ৩৮২, মুসলিম ৫১২, নাসায়ী ১৬৮, আহমাদ ২৫১৪৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ২৩৪২।
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، حَدَّثَتْنِي مَيْمُونَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا حِذَاءَهُ وَأَنَا حَائِضٌ وَرُبَّمَا أَصَابَنِي ثَوْبُهُ إِذَا سَجَدَ وَكَانَ يُصَلِّي عَلَى الْخُمْرَةِ .
আমর ইবনু আওন ........... মায়মূনা বিনতুল-হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন কোন সময় নামায আদায়কালে আমি হায়েয অবস্থায় তাঁর পাশে থাকতাম এবং কখনও কখনও সিজদার সময় তাঁর বস্ত্র আমার শরীর স্পর্শ করত। তিনি খেজুর পাতার চাটাইরের উপর নামায আদায় করতেন।
(আবু দাউদ ৬৫৬)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত বইয়ের লেখা সঠিক নয়।
,
হ্যাঁ যদি পুরুষ মহিলা এক সাথে একই নামাজ জামা'আতের সাথে আদায় করে,উভয়ের পা টাখনু যদি বরবার করে দাড়ায়,মাঝে যদি কোনো দুরত্ব বা পর্দা না থাকে,এক রুকন সমপরিমাণ হয় ,ইত্যাদি কিছু শর্তের ভিত্তিতে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।
"وتاسع شروط المحاذاة الخ" وأولہا: المشتہاة، ثانیہا: أن یکون بالساق والکعب علی ما ذکرہ، ثالثہا: أن تکون فی أداء رکن أو قدرہ، رابعہا: أن تکون فی صلاة مطلقة، خامسہا: أن تکون فی صلاة مشترکة تحریمة، سادسہا: إتحاد المکان، سابعہا: عدم الحائل، ثامنہا: عدم الإشارة إلیہا بالتأخر․ (وتاسع شروط المحاذاة) أن یکون الإمام قد نوی إمامتہا․ (طحطاوي مع المراقي: ص: ۳۳۱، ط: دار الکتب العلمیہ بیروت)
সারমর্মঃ
মুহাযাতের ক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গ হওয়ার ০৯ টি শর্ত।
শাহওয়াত যুক্ত মহিলা হওয়া,পায়ের নলা,টাখনু উভয়ের বরাবর হওয়া,এক রুকন সমপরিমাণ হওয়া,সাধারণ নামাজে হওয়া,একই তাহরিমা বিশিষ্ট নামাজ হওয়া,জায়গা এক হওয়া,মাঝে কোনো পর্দা না থাকা,পিছনে চলে যাওয়ার ইশারা না করা,ইমামের সেই মহিলার ইমামতির নিয়ত নিয়ত করা।