জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে পবিত্রতা অর্জন করা নামাজের জন্য শর্ত।
পবিত্রতা ব্যাতিত নামাজ হয়না।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ
মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে উত্তম রুপে পবিত্র হবে।
(সুরা মায়েদা ০৬)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ
কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও হান্নাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তাহারাত ছাড়া সালাত কবূল হয় না।
ইবনু মাজাহ -২৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইমাম মুক্তাদী কাহারই নামাজ হয়নি।
সকলকেই পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে ওয়াক্ত বাকি থাকলে ইমাম সাথে সাথে সকলকে অবহিত করে পুনরায় নামাজ পড়াবে।
ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে সকলে মুছল্লি পুনরায় মসজিদে আসার পর কারন বশত নামাজ না হওয়ার বিষয়টি ই'লান করতে হবে।
যাতে সকলেই তারা কাজা আদায় করে নেয়।
পাশাপাশি তওবা করতে হবে।
,
সে নামাজের সমস্ত মুছল্লিদেরকে অবহিত করতেই হবে,এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় নেই।
এক্ষেত্রে স্পষ্ট আকারে কারন না বললেও চলবে।
এতটুকু বলবে যে মাসয়ালাগত দিক থেকে কোনো কারন বশত নামাজ হয়নি,পুনরায় সেই নামাজ সকলকে আদায় করতে হবে।
.
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 591):
’’(وإذا ظهر حدث إمامه) وكذا كل مفسد في رأي مقتد (بطلت فيلزم إعادتها)؛ لتضمنها صلاة المؤتم صحةً وفساداً (كما يلزم الإمام إخبار القوم إذا أمهم وهو محدث أو جنب) أو فاقد شرط أو ركن. وهل عليهم إعادتها إن عدلاً، نعم، وإلا ندبت، وقيل: لا لفسقه باعترافه ؛ ولو زعم أنه كافر لم يقبل منه؛ لأن الصلاة دليل الإسلام وأجبر عليه (بالقدر الممكن) بلسانه أو (بكتاب أو رسول على الأصح) لو معينين وإلا لايلزمه، بحر عن المعراج. وصحح في مجمع الفتاوى عدمه مطلقاً؛ لكونه عن خطأ معفو عنه، لكن الشروح مرجحة على الفتاوى‘‘
সারমর্মঃ
ইমামের নামাজ হদস প্রকাশের কারনে না হলে সকল মুক্তাদি দেরও নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
কেননা মুক্তাদিদের নামাজের সহীহ,ফাসেদ এর বিষয়টি ইমামের সাথে সম্পৃক্ত।
একই ভাবে ইমামের উপর আবশ্যকীয় যে সে সকল মুছল্লিদেরকে বিষয়টি সম্পর্ক অবহিত করবে।