ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■ হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي
بَيْتِهِ وَهُوَ جَالِسٌ فَصَلَّى وَرَاءَهُ قَوْمٌ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ
أَنِ اجْلِسُوا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ
لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا
صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا " .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরে বসা অবস্থায় সলাত আদায়কালে লোকেরা
তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করছিল। তিনি তাদেরকে বসার জন্য ইশারা করলেন। অতঃপর
সলাত শেষে বললেন, ইমাম তো এজন্যই নিয়োগ করা
হয়, যেন অন্যেরা তার অনুসরন
করে। কাজেই ইমাম রুকু’ করলে তোমরাও রুকু’ করবে। ইমাম মাথা ঊঠালে তোমরাও মাথা
উঠাবে। আর ইমাম বসে সলাত আদায় করলে তোমরাও বসে সলাত আদায় করবে। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৬০৫
■ অন্য এক
হাদীসে এসেছে-
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
إِنَّ صَلاَةَ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ وَحْدَهُ
بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তির জামা’আতের নামায তার একাকি নামাযের
তুলনায় পঁচিশ গুন (সাওয়াব) বৃদ্ধি পায়। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২১৬
■ আদদুররুল মুখতারে এসেছে-
ويبدأ بقضاء ما فاته …ثم
يتابع إمامه إن أمكن إدراكه و إلا تابعه
মর্মার্থ: লাহেক ব্যক্তি
প্রথমে যা ছুটে গিয়েছে তা কাযা করে নিবে। তারপর সম্ভব হলে ইমামের অনুসরণ করবে অন্যথায় বাকী
নামাজ আদায় করবে। (আদদুররুল মুখতার, ২/৪১৬)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে সে ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে দিবে।
উল্লেখ্য যে, ইমামের সাথে
নামায শুরু করার পর ঘুম বা অন্য কোনো ওযরে মাঝখানে কোনো রোকন ছুটে গেলে তা নিজে
নিজে আদায় করে ইমামের সাথে শরিক হতে হয়। তাই তার যদি প্রবল ধারণা হয় যে, সে এক সিজদা
করেছে তাহলে সে আরেক সিজদা দিয়ে ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে দিবে। অন্যথায় শুধু
সন্দেহের উপর ভিত্তি করে আরেক সিজদা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
প্রকাশ থাকে যে, নামাযের মধ্যে অবহেলা বা অলসতা খুবই অপছন্দনীয়
বিষয়। নামায আদায় করতে হয় অত্যন্ত খুশুখুযু ও মনোযোগের সঙ্গে। আর নামাযে
ঘুমিয়ে পড়া উদাসীনতার লক্ষণ। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।